সৌদি অভিবাসী আইন অনুযায়ী ধরপাকড় শুরু হওয়ায় হাজার হাজার বিদেশি শ্রমিক বহিষ্কৃত হয়। অনেকে যারা লুকিয়ে পালিয়ে রয়েছেন সৌদিআরবে। তাদের মধ্যে আতংক কখন তারা ধরা পড়বেন আর নিজ নিজ দেশের পথে রওয়ানা হতে হবে। আর এই দু:সময় শ্রমিকদের পাশে এগিয়ে এলেন সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ।তিনি অভিবাসী শ্রমিকদের কাগজপত্র যাচাইয়ে তাদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় তিনমাস বিলম্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশটিতে ৯০ লাখের বেশি বিদেশি শ্রমিক অবস্থান করছে। এসব শ্রমিকের রেমিটেন্স বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইয়েমেন, ভারত ও ফিলিপাইনের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। রবিবার সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাদশাহ আবদুল্লাহ অন্যূন তিন মাসের মধ্যে বেআইনীভাবে সৌদি আরবে অবস্থানকারী বিদেশি শ্রমিকদের তাদের মর্যাদার ব্যাপারে ব্যাখ্যা দানের সুযোগ দানে স্বরাষ্ট্র ও শ্রম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিগত কয়েক মাসের মধ্যে সৌদি আরব থেকে প্রায় ২০ হাজারের বেশি বিদেশি শ্রমিককে বহিষ্কার করা হয়েছে।সৌদিদের বেসরকারি খাতের চাকরিতে অধিকহারে নিয়োগদানে শ্রম বাজার সংশোধনে এই ধরপাকড় চালানো হচ্ছে। বেসরকারি খাতে সৌদি আরবের মোট জনশক্তির মাত্র এক-দশমাংশ নিয়োজিত। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, প্রতি ১০ জন সৌদি নাগরিকের মধ্যে ৯ জন সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত। সৌদি আইনে নিয়োগকর্তাদেরকে প্রবাসী শ্রমিকদের স্পন্সর হতে হয়। কিন্তু অনেকে তাদের অবস্থানের দলিলপত্র স্থানান্তর করা ছাড়া চাকরি পরিবর্তন করছে। ফলে বহু কোম্পানি সৌদি নাগরিকদের নিয়োগদানের কোটা এড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। যেসব কোম্পানিতে সৌদিদের নিয়োগ দানের পরিমাণ কম সেসব কোম্পানিকে জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ।
Leave a Reply