আহমেদ আল আমীন: সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রধান আইনজীবী ও দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন এই জামায়াত নেতা।
তার নিজের বিরুদ্ধেও একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। তিনি দলের নেতাদের আইনজীবী হিসেবে পুরো বিষয়টির সমন্বয় করলেও এর আড়ালে বিদেশি আইনজীবী ও সাক্ষী আনা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, অর্থ সংগ্রহ, বিচার কার্যক্রম বানচাল ও অভিযুক্তদের রক্ষা করতে নানামুখী প্রচারণা, লবিস্ট নিয়োগ ও জনমত সংগ্রহ করাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের তৎপরতা চালানোর তথ্যও পাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
এর পরপরই তার প্রতি কড়া নজরদারি শুরু করে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গত শনিবার (৬ অক্টোবর) থেকে একটি বিশেষ সংস্থা তার চলাচলসহ সব কর্মকাণ্ডের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে। এর বাইরে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনসহ দেশের সব সীমান্তেও সতর্ক বার্তা পেঁৗছে দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন। গোয়েন্দা ও তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশনসহ একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রসঙ্গত, গত ২৬ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে জবানবন্দিতে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী প্রসঙ্গক্রমে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনেন। এরপর থেকেই তার ওপর নজরদারি শুরু হয় বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের মানবতাবিরোধী অপরাধে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত সংস্থার একটি বিশেষ টিম চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। তদন্তে কিছু তথ্য উপাত্ত পাওয়াও যায়। তবে বিশেষ স্পর্শকাতর ইস্যু হওয়ায় তদন্ত সংস্থার সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে গোপনে অগ্রসর হতে থাকেন। মিডিয়া তো দূরের কথা প্রসিকিউশনের অনেক সদস্যও বিষয়টি জানেন না। প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পাওয়ার পর অনুসন্ধানের ব্যাপ্তি ও পরিধি বাড়ানো হয়।
একপর্যায়ে তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ও অন্তর্ভুক্ত হয়। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলমান বিচার কার্যক্রম বানচাল করতে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বিদেশেও নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করছেন।সুত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন ১০.১০.১২
Leave a Reply