অভিযানের কারণ ব্যাখ্যা করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যে মামলায় মাহমুদুর রহমান গ্রেপ্তার হয়েছেন, আদালত সেই মামলায় একটা সার্চ ওয়ারেন্ট দিয়েছে। এর ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালত আলামত জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। সেজন্যই তদন্ত কর্মকর্তা আমার দেশের প্রেসে গেছেন।
ছাপাখানার পাহারাদার ইলিয়াস আলী আলাপে জানা যায়, রাত সোয়া ৮টার দিকে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ছাপাখানার ভেতরে ঢোকেন। তাকে তখন বলা হয়, তিনি যেন তারা কক্ষ থেকে বের না হন। আর কিছু না বলেই পুলিশ কর্মকর্তারা তল্লাসি শুরু দেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ্, এর আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ে’র কথিত দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ২০১২ সালে পহেলা জুন এক নির্বাহী আদেশে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে উচ্চ আদালতের আদেশে আবার প্রকাশনা শুরু হয়। ওই সময় পত্রিকা বন্ধের পরদিন ২ জুন ভোরে মাহমুদুর রহমানকে পত্রিকার কার্যালয় থেকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পুলিশি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ওইদিনই একটি মামলা দায়ের করা হয়। আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই বছরের ১৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আদালত আবমাননার দায়ে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন। এ মামলায় তিনি ৭ মাস কারাভোগ করে ২০১১ সালের ১৭ মার্চ মুক্তি পান। উল্লেখ্য, মাহমুদুর রহমান ২০০৮ সালে আমার দেশ পত্রিকার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেন। ওই সময় থেকেই তিনি ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় তার জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন মাহমুদুর রহমান। আমার দেশ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলীর মালিকানায়। বর্তমান সরকার আমলে মালিকানার হাতবদল হয়। এর আগেও আদালত অবমাননার দায়ে এর আগে মাহমুদুর রহমান সাত মাস কারাভোগ করতে হয়েছে। পত্রিকার মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে মামলার পর গ্রেপ্তারও হতে হয়েছিল তাকে। দুই বছর আগে ওই ঘটনা দুটির সময় দুই দফা আমার দেশ প্রকাশ ৪৭ দিন বন্ধ ছিল। চার বছর আগে আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব নেন এই প্রকৌশলী, সংবাদপত্র জগতে যার কোনো বিচরণ আগে ছিল না।
Leave a Reply