শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ভারতে আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মানহানির একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা নীতিন গাদকারিকে দুনীতিবাজ বলায় কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন নীতিন।
এ মামলায় জামিনের জন্য ১০ হাজার রুপি বন্ড দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটি রাজনৈতিক হওয়ার কারণে কেজরিওয়াল বন্ড দেবেন না বলে জানিয়েছেন। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বারানসি আসনে বিজেপি’র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির বিপরীতে দাঁড়িয়ে হেরেছেন কেজরিওয়াল।
বুধবার আদালতে তিনি বলেন, আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি। আমি জামিন নেব না। কারণ আমি ভুল কিছু করিনি। বিশেষ করে এরকম একটি মামলায়। কেজরিওয়ালের আইনজীবী এবং এএপি সদস্য প্রশান্ত ভূষণ তার উদ্ধৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছেন। তবে জামিন নিতে অস্বীকৃতি জানালেও কেজরিওয়াল বিচার থেকে পালিয়ে যাবেন না এবং প্রতিটা শুনানিতেও উপস্থিত থাকবেন বলেও মুচলেকা দেয়ার প্রস্তাব দেন। তারপরও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গোমতি মানোচা কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে দুইদিনের জন্য দিল্লির তিহার জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২৩ মে তে কেজরিওয়ালকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
এএপি গত জানুয়ারিতে ভারতের সবচে দুর্নীতিবাজদের যে তালিকা করেছিল তাতে ছিল গাদকারির নাম। গাদকারির অভিযোগের ভিত্তিতে ২৮ ফেব্রুয়ারিতে কেজরিওয়ালকে তলব করে দিল্লি আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে গাদকারি বলেছিলেন, কেজরিওয়ালের মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কলঙ্কজনক এবং মানহানিকর বিবৃতিতে তার (গাদকারি) মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে।
গান্ধীবাদী সমাজকর্মী আন্না হাজারের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পথ ধরে ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর আম আদমি পার্টি গঠন করেন কেজরিওয়াল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রাজনীতিতে আসার এক বছরের মাথায় বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভ করে গত ২৮ ডিসেম্বর দিল্লিতে সরকার গঠন করেছিল তার আম আদমি পার্টি (এএপি)। কিন্তু মাঝ পথেই ক্ষমতা ছাড়ার জন্য বুধবার জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কেজরিওয়াল। সেইসঙ্গে আরেকবার ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।