প্রযুক্তি আকাশ ডেস্ক: গুগল অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের মৃত্যুর পর ‘ডিজিটাল সম্পত্তির’ কি হবে- এ উদ্বেগ থেকে ‘নেটিজেনদের’ মুক্তি দিতে বিশেষ সেবা চালু করছে ইন্টারনেট কোম্পানী গুগুল। এর মাধ্যমে গুগল অ্যাকাউন্টধারীরা অনলাইনে তাদের জমা রাখা তথ্য ও ফাইলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। তারা চাইলে তাদের মৃত্যুর পর এসব তথ্য মুছে ফেলবে গুগল। অথবা পাঠিয়ে দেয়া হবে অ্যাকাউন্টধারীর ইচ্ছে অনুযায়ী নির্ধারিত অন্য কারো ওয়েব ঠিকানায়।
ই-মেইল আদান-প্রদানের সেবা ‘জি মেইল’, সামাজিক যোগাযোগের সাইট ‘গুগল প্লাস, ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব, ফটো শেয়ারিং সেবা পিকাসা এবং ব্লগ সাইট ব্লগারসহ গুগলের অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ইন্টারনেটে যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকার পাশাপাশি অনলাইনে আপলোড করা ব্যক্তিগত তথ্য, লেখা ও ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নটিও দিনে দিনে জোরালো হয়ে উঠছে। মৃত্যুর পর এসব তথ্যের কি হবে- তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখা এসেছে ইন্টারনেটে।
ফলে সেবাদানকারী কোম্পানীগুলোও এ নিয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। গুগলের এক ব্লগপোস্টে বলা হয়, “মৃত্যুর পর আপনার ডিজিটাল জীবনের কী হবে সে পরিকল্পনা সাজাতে এই ফিচার সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি। এতে একদিকে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে আপনার মৃত্যুর পরও আপনার প্রিয় মানুষটির জীবন হয়তো একটু সহজ করা যাবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গুগল ব্যবহারকারীরা চাইলে তিন, ছয়, নয় বা ১২ মাস সময় বেঁধে দিতে পারবেন- যে সময় পর্যন্ত অব্যবহৃত থাকলে অ্যাকাউন্টটি ‘ডিলিট’ করে দেবে গুগল। অথবা ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট কারো অ্যাকাউন্টের কথা গুগলকে জানিয়ে দিতে পারবেন। নির্ধারিত সময় পর সেই ওয়েব ঠিকানাতেই তার সব তথ্য পাঠিয়ে দেয়া হবে। আর অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা বা তথ্য স্থানান্তরের আগে ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর বা বিকল্প অ্যাকাউন্টে যোগাযোগ করে সতর্ক করবে গুগল। যেমন সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেইসবুক একটি সুবিধা দিচ্ছে যার মাধ্যমে কোনো আত্মীয় তার স্বজনের অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়া কিংবা স্মৃতি হিসবে ফেইসবুক পৃষ্ঠাটি সংরক্ষণ করতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের উদ্বেগের কারণে অন্যান্য বড় ইন্টারনেট কোম্পানীগুলোও এই ধরনের বিশেষ সেবা চালু করছে।
Leave a Reply