মোস্তাক আহমেদ: ব্রিটেন সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী ইনভেস্টর ক্যাটাগরিতে বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে নাগরিকত্ব কিনছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনী ব্যাক্তিরা। বেশ কয়েক বছর ধরে এটা বলবত থাকলেও সম্প্রতি কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর এ সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন বিত্তবানরা।
হোম অফিসের বরাত দিয়ে জানা যায়, আবেদনকারী সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যস্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিত্তবানরা। ইউকে বোর্ডার এজেন্সির যোষণা অনুযায়ী এন্টারপ্রেইনশীপ ভিসা ক্যাটাগরিতে স্থায়ীভাবে ব্রিটেন থাকার আবেদন করছেন বিশ্বের ধনী ব্যাক্তি ও তাদের পরিবার। শীর্ষবিন্দু’র এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অনেক রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী তাদের ছেলেমেয়েদের আগেভাগেই ব্রিটেন পাঠিয়ে দিয়েছেন নিরাপত্তার জন্য পড়াশুনার নামে। এর এখন সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন বিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে। ইনভেস্টর ক্যাটাগরিতে যারা এ অর্থ ব্যয়ে সামর্থবানরা ব্রিটেনের কোন কোম্পানীর শেয়ার বা বন্ড কিনলেই পেয়ে যাবেন বিট্রেনের স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি। আর এ স্কীমে আবেদন কারীদের মধ্যে চায়না এবং রাশিয়ার ধনীরা বেশি এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে পিছিয়ে নেই মধ্যেপ্রাচ্য দেশের ধনীরা। গত বছর এর হার ছিল ৩৩১ জনে, যা গত ১২ বছরে ছিল প্রায় চারশো জন। নতুন মাইগ্রেন্টরা মনে করছেন, এতে এক দিকে যেমন ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা রক্ষিত হবে। তেমনি নিজেকেও নিরাপদ রাখা যাবে যথন নিজের দেশে কোন এক সমস্যার সম্মুখিন হবেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বিট্রেনে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমানের বিট্রেনে আশ্রয় নিয়েও অনেক জল্পনা কল্পনা রয়েছেন। অনেকের ধারণা তিনি মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ব্রিট্রেনে স্থায়ী নাগরিক হতে যাচ্ছেন খুব শিগগীরিই। যদিও ব্রিট্রেন সরকার তার রাজনৈতিক আশ্রয় বৃদ্ধি করেছেন খুবই সাম্প্রতিককালে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বিলিয়ন পাউন্ড খুব বেশি কিছু নয়। যে হারে দিন দিন এর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তাদের মতে বিনিয়গের পরিমান আরো বাড়ানো উচিত। কারন অনেকেই নিরাপত্তার জন্য দ্বিতীয় হোম হিসেবে ব্রিটেনকেই বেছে নিচ্ছেন। আর বিনিয়োগের পরিমান বাড়লেও মাইগ্রেন্টদের সংখ্যা কমবে না বরং ব্রিট্রেন আরো অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধিশীল হবে।
Leave a Reply