স্বদেশ জুড়ে ডেস্ক: ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার এক বছর পূর্ণ হয়েছে। বেদনাদায়ক সে দিনটিতে তার পরিবারকে সমাবেদনা জানাতে সকাল ১০টায় বনানীর সিলেট হাউজে গিয়েছিলেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। স্বামীর রাজনৈতিক সহকর্মীরা সমবেদনা জানাতে গেলে আবেগপ্রবণ হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। কান্না ধরে রাখতে পারেননি বিএনপি নেতারাও।
এ সময় তাহসিনা রুশদীর বলেন, আমরা এখনও ইলিয়াস আলীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। এখনও বিশ্বাস করি, সরকার আন্তরিক হলে আমার স্বামী আমার কাছে ফিরে আসবে। তাই আল্লাহর ওপর ভরসা করে আছি। তিনি দুঃখ করে বলেন, আমি আমার স্বামীকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেছি। কিন্তু ঘটনার পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমার স্বামীকে উদ্ধারের কোন কার্যকর উদ্যোগ দেখিনি।
ইলিয়াস আলীর পরিবারকে সান্তনা জানাতে আসা বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে সরকারই বন্দি করে রেখেছে। এক বছর কেটে গেলেও তাকে ফেরত দেয়া হয়নি। আমরা তাকে সুস্থভাবে ফেরত পেতে চাই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্যের কথাবার্তায় প্রমাণ হয়েছে ইলিয়াস সরকারের কাছেই আছে। ইলিয়াস আলীকে ফিরে পেতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। বৃহস্পতিবার ঘোষিত কর্মসূচির প্রধান ইস্যু ইলিয়াসের মুক্তি দাবি।
বিরোধীদলকে দুর্বলের উদ্দেশ্যেই সরকার গুম নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে মোশাররফ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোন ট্রাস্ট কিভাবে চলবে, তা ট্রাস্টের সিদ্ধান্ত। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া মামলাটি বানোয়াট। তাকে আটকের কথা শুনতে পাচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এটা বিরোধীধরকে ভয়ভীতি দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনেও তাকে মাইনাসের ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু জনমত ও তৃণমূলের শক্তির কাছে সেসব ষড়যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
এ সময় অন্যানোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
Leave a Reply