নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সিলেট নগরীর যতরপুরস্থ কামরানের বাসায় এমন ঘটনায় হতবাক হন স্থানীয় এলাকাবাসী। সিলেটের সাবেক মেয়র কামরানের বাসায় গিয়ে শুয়ে পড়লেন কয়েক শ‘ টমটম চালক। কামরানের বাসায় জড়ো হওয়া শ্রমিকরা এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। হাতে-পায়ে ধরে বলেন, সামনে ঈদ। আমাদের পেটে লাথি দেয়া হচ্ছে। আপাতত সিলেটে আরও একটু চলাচলের সুযোগ করে দিন।
প্রখর রোদের মধ্যে তারা কামরানের দু’তলা বাসার বারাবান্দা ও উঠোনে শুয়ে সিলেটে টমটম বন্ধের প্রতিবাদ জানান। এ সময় শুধু কামরানের বাসা নয় তারা বাসার গলিপথেও অবস্থান নেন। শুয়ে পড়েন রাস্তায়ও। তাদের আকুতিতে কামরান জানান, তিনি এখন আর মেয়র নন। তবে, তাদের দাবি নিয়ে কথা বলবেন প্রশাসনের সঙ্গে।
জানা যায়, সিলেটের রাজপথে রমজানের আগের দিন চলেছে হাজার হাজার টমটম। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইককে সিলেটে টমটম বলা হয়। সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মেয়র থাকা কালে সিলেটের রাজপথে চলাচলের জন্য প্রায় ১১৫০ টমটমের অনুমতি দেন। ওই সময় বিআরটিএ যখন অনুমতি দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় তখন মেয়র শ্রমিকদের স্বার্থ বিবেচনা করে টমটমের বৈধতা দেন।
কিন্তু বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে আর কোন টমটমের অনুমতি দেয়া হয়নি। প্রথম রমজান থেকে পুলিশ যানজটের অজুহাত দেখিয়ে সিলেট নগরীতে টমটম চলাচল বন্ধ করে দেয়। তবে নগরীর বাইরে আরো কিছুদিন টমটম চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।