গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের প্রথম ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। নিজ স্ত্রী ও সন্তান হত্যার দায়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলানো হয় চন্দ্রঘোনা গ্রামের চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ছালে নূরকে।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ধর্মীয় নিয়ম নীতি অনুসরণ করেই তাকে রাত ১২টা ০১ মিনিটে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ফাঁসির সময় সিনিয়ার জেল সুপার আব্দুর রাজ্জাক ছাড়াও গাজীপুরের সিভিল সার্জন সৈয়দ মো. হাবিব উল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সেবাস্টিন রেমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ভোরে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়। পরে ছালে নুরের ভাইয়ের ইচ্ছায় সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে দাফন করার জন্য আঞ্জুমানে মফিজুল ইসলাম-এর কর্মীদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। কারাগার সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২১ জুন চট্টগ্রামের একটি আদালত আসামি ছালে নূর(৪৮) কে মৃত্যু দন্ডের রায় দেন। আসামি আপিল করলে উচ্চ আদালত ২০০৯ সালের ২ অক্টোবর মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখেন।
পরবর্তী সময় ২০১২ সালের ৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখেন। এরপর মৃত্যুদন্ড মওকুফ চেয়ে আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে গত ২৭ মার্চ রাষ্ট্রপতি দন্ড মওকুফের আবেদন নাকচ করেন। আদালতের আদেশে ছালে নূরের মুত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশ দেন। বেধে দেওয়া সময় সীমার মধ্যেই মঙ্গলবার মধ্য রাতে ফাঁসি কার্যকর হয়।
উল্লেথ, গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ২০১২ সালের ১২ জুলাই উদ্বোধন করা হয় হাই সিকিউরিটি কারাগার। এ কারাগারের প্রায় ১৮০০ বন্দির মধ্যে এক তৃতীয়াংশ বন্দি ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ।
Leave a Reply