স্বদেশ জুড়ে: বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম ভবন ধসের ঘটনায় ভবনের মালিক যুবলীগ নেতা এবং গামেন্টস মালিক। এদের দুজনই সমান অপরাধী। আদালত এদের বিরুদ্ধে কঠোর সাজা দিয়ে দন্ডিত করবেন এটাই বাংলার জনগনের প্রধান দাবী।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০০ জনের ওপরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বহু মানুষ। অগণিত লোকদের কান্নার বিলাপ আকাশ বাতাস ভারী করে তোলেছে ধ্বংস স্তুপের আশপাশের এলাকা। সারা অনেকেই দাড়িয়ে ছিলেন স্বজনের জীবিত অথবা লাশ দেখার জন্য। আইন শৃংখলা বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চলছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ‘নিখোঁজ’ স্বজনদের খোঁজে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় রাতে উদ্ধার কার্যক্রম চলে ধীরগতিতে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ও সেনা সদস্যরা রাভর এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিলেও স্থানীয় বহু মানুষ এক্ষেত্রে উদ্যোগী ভূমিকা রাখছেন।
উদ্ধারকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, আটকে পড়া সবাইকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধার কাজ পুরোপুরি শেষ হতে দুই-এক দিন লাগতে পারে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষনিক আদেশে ভবন ধসের কারণ তদন্তে অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট মনোজ কুমার রায়ের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ফাটল ধরার পর বুধবার সকালে ধসে পড়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নয় তলা ‘রানা প্লাজা’, যার চারটি তলায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে জানা যায়।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। সকাল থেকে দেশের সব সরকারি- আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। তবে কোন ছুটি ঘোষণা করা হয় নি। অফিসিয়াল সকল কার্যক্রম যথারীতি চলছে।
Leave a Reply