স্বদেশ জুড়ে: সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজা’র মালিক সোহেল রানাকে খুঁজে পাচ্ছেনা পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরও রানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। তাকে খুঁজে বের করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত রানা কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারছে না। অথচ রানাকে ধসে পড়া ভবনের সামনে থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় সংসদ সদস্য তৌহিদ জং মুরাদ উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা বলছেন, উদ্ধারের পর তিনি এমপি’র জিম্মায়ই ছিলেন। রানার অবস্থান সম্পর্কে স্থানীয় এমপি অবগত আছেন। রানার বিরুদ্ধে সাভার থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। সূত্র মতে, সোহেল রানা সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। সোহেল রানা দেশের বাইরে পালানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। যে কোন সময় পালিয়ে যাবেন। বর্তমানে সাভারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়িতে তিনি অবস্থান করছেন বলেও এই সূত্র মতে জানা যায়। তবে । এলাকাবাসী অনেকের ধারণা এমপির সহায়তায় সোহেল রানা এর মধ্যেই দেশ ছেড়েছে।
রানা প্লাজা ধসে পড়ার পরপরই ভবন মালিক সোহেল রানার কোটিপতি হওয়ার নেপথ্যে নানা কথা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, সোহেল রানার পিতা আবদুল খালেক একজন তেল ব্যবসায়ী। তিনি কুলু খালেক হিসেবেই পরিচিত। সাভার নামা বাজারে তার মালিকানায় তেলের ঘানি রয়েছে। বর্তমানে সেটি বন্ধ। পরবর্তীকালে পিতা-পুত্র ব্যাংক লোনসহ বিভিন্ন উপায়ে রানা প্লাজা, রানা টাওয়ার গড়ে তোলেন। সস্তা মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেন। পরে উঁচু দামে বিভিন্ন ফ্লোর ভাড়া দিয়ে কয়েক বছরের মধ্যেই কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে যান।
জানা যায়, সেখানে আগে পুকুর ছিল। সম্পত্তি ছিল জনৈক হিন্দু পরিবারের। রানার সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য তৌহিদ জং মুরাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ক্ষমতাসীন দলের সুবিধা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন।এলাকায় ব্যবসাসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে তাদের সম্পর্ক রয়েছে। বুধবার ভবন ধসের আগে রানা ওই ভবনের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে হরতাল বিরোধী মিছিল করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবিসিকে বলেছেন, সকালে সেখানে বিএনপি ও স্থানীয় মৌলবাদীরা হরতালের পক্ষে সেখানে ভবনের স্তম্ভে ও ফটকে নাড়াচাড়া করছিল। এটি ভবন ধসের একটি কারণ হতে পারে।
Leave a Reply