স্বদেশ জুড়ে ডেস্ক: সুস্থ ও ভাল থাকার কথা বললেও শনিবার দুপুরে তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে বার বার বলছিলেন, আমাকে বাঁচাও, তাড়াতাড়ি মুক্ত করো। না পারলে আমার মেয়েটিকে মানুষ করো। আমার মতো গার্মেন্টেসে পাঠিওনা। সেনা ক্যাম্পে বসে হাফিজ আটকে পড়া স্ত্রী নাজমার কথা এভাবেই কেদে কেদে বলছিলেন।আর প্রার্থনা করছিলেন।
চারদিন পর থেমে গেল নাজমার কথা। ভবন ধসের পর আটকে ছিলেন চতুর্থ তলায়। তারপর থেকেই মোবাইল ফোনে কথা বলতেন স্বামী হাফিজের সঙ্গে।এরপর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
হাফিজ বলছিলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১২ জন জীবিত আছেন। শুরু থেকেই তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি। বিকাল পর্যন্ত সুরঙ্গ পথে প্রবেশ করে তার কাছাকাছি পৌছে ছিলাম। কিন্তু সরকারী উদ্ধার কর্মকর্তাদের নির্দেশে আর যেতে পারিনি। বাইরে আসতে বাধ্য হয়েছি।
কান্নাজড়িত কন্ঠে হাফিজ আরও বলেন, আমার বাড়ি মানিক গঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার উত্তর বাসাইল গ্রামে। স্ত্রী নাজমা চার তলার সি লাইনে অপারেটর পদে চাকরি করতো। মায়ের জন্য প্রতীক্ষায় আছে ৮ বছরের মেয়ে হাফেজা। তাকে কথা দিয়েছিলাম- তার মাকে নিয়ে ফিরবো। কিন্তু পাঁচদিন পার হওয়ার পরও তাকে উদ্ধার করতে পারলাম না। এখন আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
Leave a Reply