স্বদেশ জুড়ে ডেস্ক: সাভারে বহুতল ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডার তৈরি পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লবল ও বৃটিশ প্রতিষ্ঠান প্রাইমার্ক। পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে হতাহত পোশাক শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণে এগিয়ে এলেও তারা ক্ষতিপূরণের পরিমাণ উল্লেখ করেনি প্রতিষ্ঠানগুলো।
কানাডার পোশাক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জো ফ্রেশ ব্রান্ডের পোশাক বিক্রি হয় লবলের চেইনশপে। সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার একটি গার্মেন্ট থেকে পোশাক কিনতো জো ফ্রেশ। রানা প্লাজার তৃতীয় তলার ‘নিউ ওয়েভ’ নামের একটি পোশাক সরবরাহকারী (সাপ্লায়ার) প্রতিষ্ঠান থেকে পোশাক ক্রয় করতো তারা।
লবলের মুখপাত্র জুলিজা হান্টার সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক, যারা আমাদের পোশাক সরবরাহকারীদের জন্য যারা কাজ করতেন তাদের পরিবারকে আমরা ক্ষতিপূরণ দেবো। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে বর্তমানে ও ভবিষ্যতে সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবচেয়ে কার্যকর ও অর্থপূর্ণ উপায়ে তাদের সহায়তা দেয়ার জন্য লবল কাজ করছে বলেও মুখপাত্র জানান।
এক বিবৃতিতে প্রাইসার্ক জানায়, আমরা আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। আমাদের সাপ্লায়ারদের জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে পোশাক তৈরি করত তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। নিহত ও আহতদের জন্য আর্থিক সাহায্য ছাড়াও হতাহত পরিবারের শিশুরা দীর্ঘমেয়াদে সাহায্য পাবে। এছাড়া দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় একটি এনজিওর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি খাদ্যের মতো জরুরি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বলেও দাবি করা হয়।
বাংলাদেশের এই ভবন ধসে বিশ্বজুড়ে পোশাক শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভবন ধসে হতাহতের খবর প্রকাশ হওয়ার পর কানাডায় জো ফ্রেশ ব্রান্ডের পোশাক বর্জনের হুমকি দেয় ক্রেতারা। এর প্রেক্ষাপটে সোমবার জরুরি বৈঠক করে কানাডার পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন রিটেইল কাউন্সিল অব কানাডা। এদিকে, ভবন ধসের কারণ অনুসন্ধান এবং এই পরিস্থিতি করণীয় নির্ধারণ করতে বাংলাদেশে শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে লবল।
গত ২৪ এপ্রিল সাভারের নয় তলা ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে, যাতে পাঁচটি পোশাক কারখানা ছিল। এঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় চারশ জন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় আড়াই শত লোককে। এছাড়া আরো বহু নিখোঁজ আছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনো অব্যাহত রয়েছে এজন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ হলে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি আরো জোড়ালো হয়ে উঠে।
Leave a Reply