স্বদেশ জুড়ে ডেস্ক: সাভারে রানা প্লাজার মালিক ও কথিত যুবলীগ নেতা সোহেল রানা এবং ৪টি গার্মেন্টস মালিকের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তারা যাতে কোন সম্পত্তি বিক্রি না করতে পারেন সে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ভবন মালিক সোহেল রানা ও গার্মেন্ট মালিকদের ৩০ এপ্রিল হাজির করার জন্য সাভার থানার ওসিকে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়া হলে তাদের সকাল ১০টায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে সোহেল রানা। একই ভবনে অবস্থিত ইথার টেক্সের মালিক আনিসুর রহমান, ফ্যান্টম অ্যাপারেলস ও ফ্যান্টম ট্যাকের মালিক আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েভ বটমের মালিক মাহমুদুর রহমান তাপস ও নিউ ওয়েভ স্টাইলের মালিক বজলুস সামাদ আদনানকে হাইকোর্টে নেয়া হয়।
পাঁচজনের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের বেঞ্চ।
এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকার রেজিস্ট্রার ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রানা প্লাজায় থাকা ওই কারখানাগুলোর মালিকরা হলেন- ইথার টেক্সের মালিক আনিসুর রহমান, ফ্যান্টম অ্যাপারেলস ও ফ্যান্টম ট্যাকের মালিক আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েভ বটমের মালিক মাহমুদুর রহমান তাপস এবং নিউ ওয়েভ স্টাইলের মালিক বজলুস সামাদ আদনান।
ভবন ধসে প্রায় চারশ’ প্রাণহানির ঘটনায় করা দুটি মামলায় রানা ও কারখানা মালিকদের ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে বুধবার এই পাঁচজনকে নেয়া হয় হাই কোর্টে। গত ২৪ এপ্রিল ভবন ধসের পর রানা প্লাজার মালিক এবং ভবনে থাকা কারখানাগুলোর মালিকদের আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
গত ২৩ এপ্রিল ফাটল দেখা দিলেও কথিত যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন ভবনে থাকা পাঁচটি কারখানায় পরদিন কাজ চলছিল, এর মধ্যেই ধসে পড়ে ভবনটি। সেখানে এখনো উদ্ধার কাজ চলছে।
ভবন নির্মাণে অনিয়ম এবং শ্রমিকদের কাজে বাধ্য করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার অভিযোগে পুলিশ ও রাজউক দুটি মামলা করেছে, যাতে সোহেল রানা, তার বাবা এবং কারখানা মালিকদের আসামি করা হয়েছে।
ভবন ধসের পর পালিয়ে যাওয়া রানাকে গত রোববার সীমান্তবর্তী বেনাপোলে গ্রেপ্তার করে র্যাব।তার আগেই গ্রেপ্তার করা হয় কারখানা মালিকদের।
Leave a Reply