সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বরাত দিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর পর গত মার্চে ডিজনি কর্তৃপক্ষ তাদের পোশাক সরবরাহকারী ও লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেয়, যাতে বাংলাদেশের মতো ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো’ থেকে উৎপাদন সরিয়ে নিতে বলা হয়। এর জন্য দায় হিসেবে বার বার দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে কারখানার কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা বন্ধ করে দিচ্ছে ডিজনি ওয়াল্ট।
গত ২৪ এপ্রিল ভবন ধসের ওই ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার অভাবে বিষয়টি নতুন করে সামনে চলে আসে। ডিজনি ওই সিদ্ধান্ত জানানোর এক মাসের মাথায় সাভারে স্মরণকালের ভয়াবহ ভবন ধসের ঘটনা ঘটে, যাতে নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।
পশ্চিমের ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে কম দামে পোশাক কিনলেও এ দেশের কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে তাদের অবহেলার বিষয়টিও আলোচিত হয় বিভিন্ন প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হলেও এ খাতের বহু শ্রমিকের আয় মাসে তিন হাজার টাকার বেশি নয়।
ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পোশাক বর্জনেরও হুমকি দেয়া হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইতোমধ্যে জানিয়েছে, পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে, যার মধ্যে জিএসপি সুবিধার বিষয়টিও আসতে পারে। এই সুবিধার আওতায় ইউরোপের বাজারে কিছু বাণিজ্য সুবিধা পায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক। প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের এই শিল্পে ৩৬ লাখের বেশি শ্রমিক জড়িত, যাদের অধিকাংশই নারী।
Leave a Reply