স্বদেশ জুড়ে: রোববার হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধের সময় ফুটপাতের দোকান ভাংচুর ও পবিত্র কোরআন শরীফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সংগঠনটির আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট আবেদনের ওপর আগামী ১৩ মে সোমবার আদেশ দেবেন আদালত। সোমবার এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আমিনুর রশিদ রাজু। মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
রিটে হেফাজতের কর্মসূচির সময় পবিত্র কুরআনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আহমদ শফীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে স্বরাষ্ট্র সচিব এবং আইজিপির প্রতি রুল দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। একই রিট আবেদনে সংগঠনটির সেক্রেটারিকে বিবাদী করেন। এ ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি এবং শাহ আহমদ শফীকে আদালতে হাজিরে আবেদন জানানো হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা শাহ আহমদ শফীর নির্দেশে রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীকে অচল করে রাখা হয়। হেফাজতের কর্মীরা বইয়ের দোকানে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় কোরআন শরীফও আগুনে পুড়ে যায়। এতে আবেদনকারী শান্তিপ্রিয় একজন মুসলিম হিসেবে আঘাত পেয়েছেন।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান সেতু, খবির উদ্দিন ভূঁইয়া ও মো. বাহার উদ্দিন আল রাজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
রিটের বিরোধীতা করে আদালতে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এবিএম নুরুল ইসলাম বলেন, আজকের দেখলাম প্রথম আলো পত্রিকায় লেখা হয়েছে, দেবাশীষ নামের একজনের বিরুদ্ধে আগুন দেওয়ার অভিযোগ আসছে। কিন্তু এখানে আপনি যদি রুল দেন তাহলে তো হলো না। কে পুড়িয়েছে, তা তো উঠে আসবে না। প্রকুত দোষীতো বাইরে থেকে গেল।
Leave a Reply