বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৬

৫ ও ৬ই মে’র ঘটনায় অ্যামনেস্টি‘র সুষ্টু তদন্ত দাবী

৫ ও ৬ই মে’র ঘটনায় অ্যামনেস্টি‘র সুষ্টু তদন্ত দাবী

স্বদেশ জুড়ে: গত ৫ ও ৬ই মে রোববার ও সোমবার ঢাকার মতিঝিলে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মঙ্গলবার রাতে পাঠানো সংস্থার এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গত ৫ই মে হেফাজত ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন, নারী উন্নয়ন নীতি বাতিল এবং মহানবীর অবমাননার অভিযোগ এনে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে রোববার এবং সোমবার প্রথম প্রহরে আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় মতিঝিলে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে অ্যামনেস্টি নিশ্চিত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সংঘর্ষে চলাকালে  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও পরিস্কার নয়। বরং এ নিয়ে নানা মহল থেকে নানারকম তথ্য দেয়া হচ্ছে। তাই এ মুহূর্তে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা জনসমক্ষে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের উপ-পরিচালক পলি ট্রাস্কট। তিনি বলেন, টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে, বাস পুড়িয়ে দিচ্ছে, দোকানপাট জ্বালিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশও টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং বুলেট ছুঁড়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত দুজন পুলিশ সদস্য এবং একজন বিজিবি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে চরম সহিংসতাপূর্ণ উল্লেখ করে বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলেছে, ৫ই মের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও ৬ই মে প্রথম প্রহর মতিঝিল এবং ওইদিন অন্যান্য স্থানে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে পুলিশ নীরব ভুমিকা পালন করছে। গণমাধ্যম এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং অন্যান্য সূত্র থেকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ৫ ও ৬ই মে’র ঘটনায় সাধারণ নাগরিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ মোট ৪৪ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। যা পুলিশ সূত্রে ভূল প্রমাণিত হয়।

দেশের বর্তমান চরম পরিস্থিতিতে পলিশের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে পলি ট্রাস্কট বলেন,  অ্যামনেস্টি মনে করে- আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি ও নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে তাদের নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তারা কারো ওপর জোর জবরদস্তি করবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, নিতান্ত বাধ্য না হলে অর্থাৎ নিজেদের জীবন রক্ষার্থেই কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারে, অন্যথায় নয়।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024