বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৮

বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন: লড়াইয়ে কার হবে জিত

বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন: লড়াইয়ে কার হবে জিত

নির্বাচন এগিয়ে আসছে, এ অবস্থায় আগামীতে কি ঘটতে যাচ্ছে? বাংলাদেশ সরকার এখন শেষ পরীক্ষার মুখোমুখি। বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।  এ লড়াইয়ে কে জিতবেন? সরকার কি বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে ব্যর্থ?

গতকাল অনলাইন আল জাজিরায় প্রকাশিত ‘হু ইজ উইনিং দ্য ব্যাটল ফর বাংলাদেশ?’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অস্থিরতায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় বিভাজন তীব্র হচ্ছে ক্রমশ।

মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে আল জাজিরা টেলিভিশনে ‘ইনসাইড স্টোরি’ অনুষ্ঠানে   আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার উপদেষ্টা মাহিদুর রহমান ও বাংলাদেশী বংশোদভূত রাজনীতিক আজমল মাসরুর। এর উপস্থাপনা করেন গিদা ফকরি। এ সময় এইচটি ইমাম বিচারবহির্ভূত কোন হত্যাকাণ্ড হচ্ছে না বলে জানান।

৬ই মে রাতে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার অভিযানের সময় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। অন্যদিকে আজমল মাসরুর অভিযোগ করেন, এ সরকারের আমলে কয়েক হাজার মানুষ অপহৃত হয়েছেন। তারা কোথায় আছেন তা-ও কেউ জানে না।

আল জাজিরার রিপোর্টে বলা হয়, বুধবার থেকে বিরোধী দলগুলো দু’দিনের হরতাল আহ্বান করেছে সারাদেশে। রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে দাবি করে এর প্রতিবাদে তারা এই হরতাল দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের শুনানিতে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে জামায়াতে ইসলামীর দু’সদস্যকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হযেছে। এ রায়কে সমর্থন দিয়েছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ব্লাগাররা। কিন্তু এ রায়ের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ বছরে হরতালের কারণে ৩০টি দিন হারিয়ে গেছে। এর মধ্যে বছর শেষে জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে করার দাবিতে কতগুলো হরতাল দিয়েছে বিরোধী দল। গত মাসে একটি কারখানা ধসে পড়েছে। সেখানে নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনা।

সর্বশেষ যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে তার নেতৃত্ব দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এ গ্রুপটি গঠিত হয়েছে মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের নিয়ে। তারা নতুন ব্লাসফেমি আইন করার দাবি করছে। এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে দেশে। এর কড়া জবাব দেয় নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে কঠিন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে। তারপর থেকেই এ দেশটি চলছে বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পার হয়ে।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা ঘোষণা দেন স্বাধীন বাংলাদেশের। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল এবং তাদেরকে নৃশংসতা ঘটাতে সহায়তা দিয়েছিল তাদের বিচার করছে যুদ্ধাপরাধ আদালত। ওই যুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এসব নিয়ে আল জাজিরায় ‘ইনসাইড স্টোরি’ নামের আলোচনা অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন গিদা ফকরি।

তিনি এসব নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার উপদেষ্টা মাহিদুর রহমান ও বাংলাদেশী বংশোদভূত রাজনীতিক আজমল মাসরুর। সেখানে আজমল মাসরুর বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুসারে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে এই সরকারের সময়ে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ অপহৃত হয়েছেন। তারা কোথায় আছেন তা-ও কেউ জানেন না। বিরোধী দল গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করছে। বর্তমান সরকারের সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি জনগণের সমাবেশ করার অধিকার পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। যখন তারা সমাবেশ করেন তাদেরকে গুলি করা হয়। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, যারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর খুব ঘনিষ্ঠ তারা তাদেরকে গুলি করার নির্দেশ দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে মানুষের অধিকার একেবারে শেষ হয়ে গেছে।

 

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024