স্বদেশ জুড়ে: ভয়াবহ রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর রাজধানীতে ফের গার্মেন্টে আগুন লেগেছে। মিরপুরের টেকনিক্যাল এলাকায় তুংহাই সোয়েটার তৈরির কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডে ৮ জনের প্রাণহাণির ঘটনা ঘটেছে।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান। নাশকতার উদ্দেশ্যে কেউ এ আগুন লাগিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
গতরাত ১১ টায় কারখানায় এ আগুন লাগলে কারাখানায় আগুনের অতিরিক্ত ধোঁয়ায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার ছয় জনের মৃত্যু হয়। কারখানার ভেতরের সিঁড়ি থেকে দুজনকে মৃত উদ্ধার করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর রাত ১ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী।
নিহত ব্যাক্তিদের মধ্যে ছিলেন- বিজিএমইএ’র পরিচালক ও কারখানাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মঞ্জুর মোর্শেদ, কুমিল্লা জেলা উত্তর যুবলীগের সভাপতি ও এমডির ঘনিষ্ঠ বন্ধু সোহেল মোস্তফা স্বপন ও এমডির আরেক বন্ধু এমাদুর রহমান বাদল, সৈয়দ নাসিম রেজা ও ডিআইজির দেহরক্ষী রিপন এবং তুংহাইয়ের কর্মকর্তা আসাদ ও অফিস সহকারী সাহাবুদ্দিন।
শেরেবাংলা নগর থানার এস আই রাজু আহমেদ জানান, ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদের মরদেহ গুলশানে তার বাড়িতে নেয়া হয়েছে। মাহবুবুর রহমানের মরদেহ এ্যাপোলো হাসপাতালে রয়েছে। অন্য ৬ জনের মধ্যে একজন ছাড়া বাকীদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই কারখানায় রাতে কোন কর্মচারি ছিল না। ভবনের ১০ম তলায় এমডিসহ ৭ জন মিটিং করছিলেন বলে জানা গেছে।
Leave a Reply