বৃহস্পতিবার জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের রায় ঘোষণার পর পরই শিবির জামায়াত কর্মীরা নগরীর সুবিদবাজার ও পাঠানটুলা এলাকায় বেশ কয়েকটি ব্যাংকসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। এ সময় তারা সুবিদবাজারে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দুটি গ্লাস ভাংচুর করে। এরপর পাঠানটুলায় পূবালী ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বুথ ভাংচুর করে।এছাড়া, সুবিদবাজার ও পাঠানটুলা এলাকায় আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানেও ভাংচুর করা হয়।
জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশের পর বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর দরগাগেইট মিনার এলাকা থেকে মিছিল বের করে জামায়াত। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এছাড়া, টুকেরবাজার তেমুখীতে দুটি সিএনজি ভাংচুর হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয় জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের রায় ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সুবিদবাজার এলাকায় একটি মিছিল বের করে শিবির। মিছিল নিয়ে পাঠানটুলার দিকে যাওয়ার পথে সেখানেও তারা ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করে শিবির কর্মীরা দিকবিদিক ছুটে যায়। বিমান বন্দর থানার ওসি খায়রুল ফজল সুবিদবাজার ও পাঠানটুলা এলাকায় কয়েকটি ব্যাংক ভাংচুরের কথা স্বীকার করেন।
এদিকে, শহরতলীর টুকেরবাজার তেমুখী এলাকায়ও মিছিল বের করার চেষ্টা চালায় জামায়াত কর্মীরা। পুলিশের বাধার মুখে তারা মিছিল করতে ব্যর্থ হয়ে দুটি সিএনজি ভাংচুর করে। জালালাবাদ থানার ওসি জামাল উদ্দিন জানান, পুলিশী বাধার মুখে জামায়াত মিছিল করতে পারেনি। সিএনজি ভাংচুরের বিষয়ে তিনি অবহিত হন বলে জানান।
তবে পাঠা্নটুলা পয়েন্টে কর্তব্যরত জালালাবাদ থানা পুলিশের এসআই আশরাফের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু দেখেননি বলে জানান। তিনি বলেন, এ ধরণের কোন সংবাদও আমার কাছে আসেনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এ বিষয়টি তাকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, যারা দেখেছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন। আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন?
Leave a Reply