স্বদেশ জুড়ে: রোবারের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ডাকা ঢাকা অবরোধের পর সমাবেশ চলাকালে পল্টন-গুলিস্তানসহ আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চলার পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১৫ মিনিটের সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা। বিরোধীদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই রাতের অভিযানে আড়াই হাজার লোক নিহত হয়েছেন।
তবে বিএনপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা মহানগর পুলিশও বলেছে, অভিযানে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো প্রাণঘাতি ছিল না। অভিযানের সময় কেউ নিহতও হননি। এজন্য তারা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনও করেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বলেছেন, রাতের অভিযানের আগে ওই এলাকায় ‘হেফাজতনামধারীদের’ তাণ্ডবের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের হাত ছিল বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, একদিকে সরকার বলছে, ৫ মের ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। তাহলে আমাদের প্রশ্ন, কেন অভিযানের সময় গণমাধ্যমকে সেখানে যেতে দেয়া হয়নি? দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি‘র সম্প্রচার কেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে? এসব কারণে মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ।
মতিঝিলের সমাবশে ছত্রভঙ্গ করতে হেফাজতকর্মীদের তুলে দিতে পুলিশি অভিযান এবং হতাহতের ঘটনায় সরকার বিচার বিভাগীয় কমিশন না করলে তদন্তের দাবি নিয়ে জাতিসংঘে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বর্তমান প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। এ সময় মওদুদ আহমদ আলোচনা সভায় অভিযোগ করেন, ৫ মে রাতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ বন্ধ করে শাপলা চত্বরে সমবেত বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তাই সরকারকে বলব, এই ঘটনা আড়াল না করে অবিলম্বে অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করুন। তা না করলে আমরা জাতিসংঘের কাছে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানাব।
মওদুদ আরো বলেন, অতীতে আমরাও ক্ষমতায় ছিলাম। আমরাও ভুল করেছি। আমাদের এখন অনুতাপ হয়। তাই সরকারকে বলছি, ভুল পথ থেকে সরে আসুন। মানুষের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাকে বন্দুক-গুলি দিয়ে দমন করতে পারবেন না। আজ দেশের পরিস্থিতি সরকার এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, এখন আর সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই। তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে যাচ্ছেন। যেনতেনভাবে দেশ চালানোয় এখনকার ক্ষমতাসীনরা এক সময় নিজেরাই অনুতপ্ত হবেন বলেও মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের প্রধান সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, হৃদয়ে বাংলাদেশের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হানিফ, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা সৈয়দ মুনসিফ আলী
Leave a Reply