প্রেসনোট সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে শামসুজ্জামান বলেন, আমি এরকম কোনো কথা বলিনি। যেসব বিষয় আমরা প্রেসনোটে প্রত্যাশা করেছিলাম, তা পাইনি। সরকারের পেছনে যেসব কর্তাব্যক্তিরা এই প্রেসনোট লিখেছেন, তাতে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর যা বলে আসছিলেন, এর চেয়ে বেশি কিছু নেই।
এ সময় তিনি আরো বলেন, গত ৫ মে রাতে কত রাউণ্ড গুলি নিক্ষেপ করা হয়েছিলো, কারা এই যৌথ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সাদা পোশাকে কারা ছিলো, তা প্রেসনোটে আসার দরকার ছিলো। ওই দিনের ঘটনা যদি ১০ মিনিটের হয়, তাহলে আমাদের প্রশ্ন কেন এত সাজ সাজ রব করা হয়েছিলো। বুড়িগঙ্গায় ভেসে গেছে অনেক রক্ত, ময়লার গাড়িতে লাশ পাচার করা হয়েছে। অভিযানের সময়ে গণমাধ্যমকে সেখানে যেতে দেয়া হয়নি। সকল মিডিয়াকে বলা হয়েছে তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখান থেকে সরে যেতে। নিচেদের প্রতিদন্ধী ভেবে ইসলাম চ্যানেল ও দিগন্ত টিভি ববন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাদের সংগ্রহকৃত ফুটেজগুলি যাতে জনসম্মখে প্রচার না হয়। ক্ষনিকের জন্য হলেও তারা মনে করছেন পরিস্থিতি সামলে নিযেছেন্। তাই ওই ঘটনা সবার কাছে রহস্যজনক অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের তুলতে মতিঝিলে গত ৫ মে’র অভিযানে আড়াই হাজার মানুষ নিহত হয় দাবি করে এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আসছে বিএনপি। শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রেসনোটে ওই অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরে জানিয়েছে, অভিযানে একজনও নিহত হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া প্রেসনোটে আরো বলা হয়, মতিঝিলে সমাবেশ চলাকালে পল্টন, বায়তুল মোকাররম, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও এর আশপাশের এলাকায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগে নেতৃত্ব দিয়েছিলো বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বাবু নগরীকে গ্রেপ্তার করলেও সহিংসতার জন্য দায়ী করা হয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের।
Leave a Reply