শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪১

সিলেট জলাবদ্ধতার অবসান কোথায়

সিলেট জলাবদ্ধতার অবসান কোথায়

শামীমা আক্তার: সিলেট নগরবাসীদেরর অভিযোগ জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি সিটি করপোরেশন। মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এই বর্ষা মৌসুমেও নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। খোদ মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয় এবং নগরীর প্রধান এলাকা জিন্দাবাজার এলাকায় বৃষ্টি হলেই জমে হাঁটু পানি। আবার কোথাও কোথাও কোমর পানি। জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তিই পাচ্ছেন না নগরবাসী।

সিলেট শহরের বাসিন্দাদের অবিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন ছড়া ও খালের অবৈধ দখল করে বাসা-বাড়ি, মার্কেট ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করার কারণে দ্রুত পানি সরে যেতে পারে না। এ জন্য নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহল নগরীর বিভিন্ন ছড়া ও খালগুলো ধীরে ধীরে অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছে। এই অবৈধ কাজ রুখতে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিটি করপোরেশন। এর ফলে গোটা নগরীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছে। এ জন্য অভিযোগ করেও সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা যায়,  সিলেটে রাতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। আর রাতভর বৃষ্টি শেষে সকালেই জলাবদ্ধতায় আটকা পড়েন নগরীর বাসিন্দারা। ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় শিবগঞ্জ, মিরাবাজার, উপশহর, সুবিদবাজার, দরগাগেট ও জিন্দাবাজার এলাকায়। এসব এলাকায় হালকা বৃষ্টিতে যেমন হাঁটু পানিতে ডুবে যায়, তেমনি একনাগাড়ে বৃষ্টি হলে তলিয়ে যায় হাঁটু থেকে কোমর পানিতে। এখন বৃষ্টির মৌসুমে নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় রয়েছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের নামে বার বার নগরবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু নগরীতে উন্নয়ন কাজের নামে হয় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি- এমন অভিযোগ নগরবাসীর। তাই অতি দ্রুত এ জলাবদ্ধতার অবসান চান নাগরিকরা।

অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমান নাগরিক বমিটির পক্ষ থেকে মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিলেট একটি অতি বর্ষণপ্রবণ এলাকা। হঠাৎ করে যখন অতিবর্ষণ হয়, তখন বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা যাতে কম হয়, সেজন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে কার্যক্রম চলছে। এ কাজের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৩৬ জন কাউন্সিলরকে ৮ জন করে শ্রমিক দেওয়া হয়েছে দ্রুত খাল-নালা পরিষ্কার করার জন্য। এছাড়াও কিছু অতিরিক্ত শ্রমিক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এ অবস্থায় যেখানেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে, দ্রুত আবার পানি নেমে যাচ্ছে।”

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অনেকটা বিপরীত সুরে কথা বললেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, লোকবল সংকট আছে। আর ছড়া ও খালগুলোতে এক বছরের জমে থাকা ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় হঠাৎ করে সরাতে গিয়ে কিছু সমস্যাও হচ্ছে। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সিটি কর্পোরেশন নেয়া প্রকল্পে প্রায় ২৫ লাখ টাকার কাজ চলমান। এ জন্য ১৫টি ট্রাক রিকিউজিশন করা হয়েছে। বেশ কিছু শ্রমিক এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। আশা করছি শিঘ্রই নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবেন।

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024