বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৯

কে হচ্ছেন পরবর্তী স্টিভ জবস

কে হচ্ছেন পরবর্তী স্টিভ জবস

অনেক দিন ধরেই একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা। কে হচ্ছেন পরবর্তী স্টিভ জবস উত্তর বেছে নেওয়ার তালিকাটি খুব বেশি বড় নয়। কিন্তু প্রশ্নটির নির্ভরযোগ্য উত্তর নেই কারও কাছে। ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর অ্যাপল সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস মারা যাওয়ার পর থেকে এ প্রশ্নটি প্রযুক্তি বিশ্বে অনেক আলোচনা হয়েছে। কারও উত্তর জেফ বেজোস, কারও বা মার্ক জাকারবার্গ আবার কেউ প্রশ্নটির খুব সহজ ভেবে হেঁটেছেন বিশ্লেষণের পথে। আবার অনেকের মতে, প্রযুক্তি বিশ্বে এখনো স্টিভ জবসের মতো মেধাবী, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা, ব্যবসায়ী ও রহস্যময় ব্যক্তিত্বের দেখা মেলেনি।
১৯৭৬ সালে নিজেদের বাড়ির গ্যারেজে বন্ধু স্টিভ ওজনিয়াককে নিয়ে ‘অ্যাপল’ প্রতিষ্ঠা করেন স্টিভ জবস। এরপর মাত্র এক দশক না পেরোতেই অ্যাপলকে দাঁড় করিয়ে ফেলেন প্রযুক্তিপণ্যের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে। নিজে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবেন বলে ১৯৮৫ সালে স্টিভ অ্যাপলে নিয়ে এসেছিলেন পেশাদার একজন প্রধান নির্বাহীকে। কিন্তু বোর্ডরুমের রাজনীতির শিকার হয়ে নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান থেকে সেই প্রধান নির্বাহীর কাছেই চাকরিচ্যুত হন তিনি। এরপর মাত্র এক দশকের মাথায় বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি অ্যাপল লোকসান দিতে দিতে দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়। ১৯৯৭ সালে আবার তাঁকে অ্যাপলে ফিরিয়ে আনা হয় এবং এরপর স্টিভ শূন্য থেকে আবার অ্যাপল গড়ে তুলতে শুরু করেন। এরই মাঝে তিনি তৈরি করেন পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিও এবং সফটওয়্যার কোম্পানি নেক্সট। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ এই ১৪ বছরে স্টিভ জবস অ্যাপলকে শূন্য থেকে গড়ে তোলেন বিশ্বের ১ নম্বর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে। প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা হিসেবে স্টিভ অ্যাপলের দুটি প্রধান ধারা ঠিক করে নেন। একটি হলো পুরোনো কর্মক্ষেত্র অর্থাৎ কম্পিউটার, আর দ্বিতীয়টি হলো ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা। ২০০১ সালে আইপডের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায় আসে অ্যাপল। এরপর এতে যোগ হয় আইটিউনসভিত্তিক গানের ব্যবসা এবং এরপর যোগ হয় অ্যাপল টিভি ও আইফোন।
প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ কাল্ট অব ম্যাকের সম্পাদক ও ‘‘ইনসাইড স্টিভ’স ব্রেইন’’ বইটির লেখক লিন্ডার কেনি স্টিভ জবস প্রসঙ্গে জানান, স্টিভ জবসের ক্যারিয়ার ছিল অদ্ভুত ধরনের। মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁকে এতটা মেধাবী বলে স্মরণ করা হয়নি। তাঁর মতে, স্টিভ জবস অ্যাপলে ফিরে আইপড ও আইফোন বাজারে আনার আগ পর্যন্ত খুব বেশি প্রশংসা পাননি। কিন্তু এ দুটি পণ্য আনার পরই আধুনিক যুগের টমাস আলভা এডিসন হিসেবে প্রশংসিত হতে শুরু করেন তিনি।
স্টিভ জবসের মারা যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। স্টিভ জবসের স্থান কেউ নিতে পারবে কি না, তা সময়ই একদিন বলে দেবে। তবে প্রযুক্তি বিশ্বে স্টিভ জবসের মতো কেউ হতে পারবেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার কমতি নেই। যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন পরবর্তী স্টিভ জবস, তাঁদের নিয়ে সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জেফ বেজোস, অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী
স্টিভ জবসের সমতুল্য হতে পারেন এমন কাউকে যদি মনে করা হয়, তবে সবার প্রথমে আসে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসের নাম। স্টিভ জবস যেমন অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনি অ্যামাজনের ক্ষেত্রেও একই ভূমিকায় রয়েছেন জেফ বেজোস। তাঁকে স্টিভ জবসের মত ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করা হয়। কারণ, স্টিভ জবসের মতোই উদ্ভাবনী পণ্যের দিকে বেজোসের ঝোঁক রয়েছে। সম্প্রতি কিন্ডল ট্যাবলেট বাজারে এনে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ কাল্ট অব ম্যাকের সম্পাদক কেনি বলেন, ‘জেফকে আমি চিনি। তাঁর অসাধারণ হাসি আর অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা একদিন স্টিভ জবসের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে বেজোসকে। কিন্তু তাঁর লক্ষ্যে এগোনোর দিক থেকে তিনি যান্ত্রিক। আর স্টিভ জবস হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বেজোসের সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, তাঁর প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তিপণ্য তৈরির ক্ষেত্রে মূল ঘরানার নয়। অ্যামাজন হচ্ছে অনলাইনে পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে কতটা উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিচয় দেখাতে পারবে, তার ওপর নির্ভর করছে জেফ বেজোসের স্টিভ জবস হয়ে ওঠা।
মার্ক জাকারবার্গ, ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী
বাড়ির একটি গ্যারেজে স্টিভ জবস ও স্টিভ ওজনিয়াক মিলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অ্যাপল আর জাকারবার্গ ২০০৪ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ডরমিটরিতে তৈরি করেন ফেসবুক। প্রতিষ্ঠালগ্নের দিক থেকে মিল রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের। সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ১০০ কোটি মানুষকে একসঙ্গে বেঁধে ফেলার কৃতিত্ব জাকারবার্গের। এদিক থেকে জাকারবার্গই সম্ভবত স্টিভ জবসের সমতুল্য হতে পারেন। এ ছাড়াও স্টিভ জবসের সঙ্গে মার্ক জাকারবার্গের মিল রয়েছে পোশাক পরার ধরনের ক্ষেত্রেও। জাকারবার্গের ধূসর টি-শার্ট, হুডির সঙ্গে জাকারবার্গের টার্টলনেক ট্রেডমার্কের মিল খুঁজে পান অনেকেই। কেনি জানান, দৃষ্টিভঙ্গিতে স্টিভ জবসের সঙ্গে মার্ক জাকারবার্গের মিল রয়েছে। তাই পরবর্তী স্টিভ জবস হতে পারেন তিনি। তবে স্টিভ জবস হয়ে ওঠার পক্ষে জাকারবার্গের সীমাবদ্ধতা হচ্ছে তিনি স্টিভ জবসের মতো জাদুকরি কোনো পণ্য মানুষের কাছে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পৌঁছে দিতে পারবেন না। জাকারবার্গকে বরং পর্দার অন্তরালের একজন পরামর্শক হিসেবেই বিবেচনা করা যায়, যিনি পণ্য বিক্রি বা কোনো বিশেষ উপলক্ষে তাঁর তারকাখ্যাতি প্রকাশ করেন।
টিম কুক, অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী
ভবিষ্যৎ স্টিভ জবস হয়ে ওঠার বড় সুযোগ পেয়েছেন স্টিভ জবসের স্থলাভিষিক্ত অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। অ্যাপলের প্রতিটি নতুন পণ্যের উদ্ভাবন আর অনুমোদন তাঁরই হাতে। অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে সবচেয়ে বড় মঞ্চ আর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও তিনি, যা তাঁকে একজন স্টিভ জবস করে তুলতে পারে। ইতিমধ্যে আইফোন৫ বাজারে এনে টিম কুক সবার নজর কেড়েছেন। শিগগিরই আইপ্যাডের ছোট একটি সংস্করণ বাজারে আনতে পারে অ্যাপল। স্টিভ জবস ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হিসেবে ছোট পর্দার পণ্যের পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু স্টিভ জবসের সাহচর্য পাওয়া ও ব্যবসায়িক দায়িত্ব পালন করা কুক হয়তো স্টিভ জবসের উল্টো পথে হেঁটেই স্টিভ জবস হয়ে উঠতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁর সীমাবদ্ধতা হচ্ছে তিনি উদ্ভাবনী ক্ষেত্রের চেয়ে ব্যবসায়িক দিক থেকে বেশি দক্ষ। তিনি হয়তো অ্যাপলের ভবিষ্যৎ তরী ঠিক পথে বাইতে পারবেন, তবে স্টিভ জবসের প্রত্যাশার ভার কতটা সইতে পারবেন, তাঁর ওপরই নির্ভর করবে স্টিভ জবস হয়ে ওঠার বিষয়টি।
জোনাথন আইভ, অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
অসুস্থতার দরুন যখন অ্যাপল থেকে স্টিভ জবস অবসরে গেলেন, তখন অ্যাপলের ভার নিতে পারেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম নামটি ছিল জোনাথন আইভের। অ্যাপল স্বপ্নদ্রষ্টা স্টিভ জবস ছাড়া অ্যাপল কি তাদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে? একটাই উত্তর, জবস নেই তাতে কী, অ্যাপলের প্রধান নকশা নির্বাহী জোনাথন আইভ তো আছেন। অ্যাপলের বর্তমান পণ্যগুলোর বৈপ্লবিক নকশা আইভের হাতেই করা। প্রচারমাধ্যমের আড়ালে থাকা জোনাথন আইভ ১৯৯৬ সাল থেকে তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনে জন্ম নেওয়া আইভ ২০১১ সালে ‘স্যার’ উপাধি পেয়েছেন। অ্যাপলে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যের ট্যানজারিন নকশা কোম্পানিতে কাজ করতেন। অ্যাপলে এসে পণ্যের নকশার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন আইভ। আইভের নকশা করা প্রথম প্রজন্মের আইপড ‘মডার্ন আর্টস কালেকশন’ জাদুঘরে ঠাঁই পেয়েছে। আইভকে যাঁরা কাছ থেকে দেখেন, তাঁদের মতে, তিনি খুবই বুদ্ধিমান ও চুপচাপ। সূক্ষ্ম বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেন তিনি। উদ্ভাবনী চিন্তার দিক থেকে তিনি স্টিভের কাছাকাছি যেতে পেরেছেন এবং প্রযুক্তির প্রতি স্টিভ জবসের ভালোবাসার কথা উপলব্ধি করেছেন তিনি।
কিন্তু পরবর্তী স্টিভ জবস হয়ে ওঠার জন্য জোনাথন আইভের ক্ষেত্রে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে তিনি প্রধান নির্বাহী বা প্রতিষ্ঠাতা নন। ৪৫ বছর বয়সী আইভের পক্ষে স্টিভ জবসের মতো হয়ে ওঠা হয়তো সম্ভব, তবে এ জন্য নতুন করে তাঁকে আরও দ্রুত ছুটতে হবে।
মারিসা মেয়ার, ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী
সিলিকন ভ্যালিতে একজন নারীর পক্ষে পরবর্তী স্টিভ জবস হয়ে ওঠা অসম্ভব কিছু নয়। আর তিনি হলেন গুগল ছেড়ে সম্প্রতি ইয়াহুর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেওয়া মারিসা মেয়ার। ২০০৮ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে বিশ্বের প্রভাবশালী সাময়িকী ‘ফরচুন’-এ প্রথমবারের মতো ৫০ জন প্রভাবশালী নারীর মধ্যে জায়গা করে নেন মারিসা মেয়ার। জানান দেন প্রযুক্তি দুনিয়ায় নিজের অবস্থান। এরপর ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালেও এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। ১৯৭৫ সালের ৩০ মে জন্ম নেওয়া মারিসা সিম্বলিক সিস্টেমের ওপর স্নাতক ও কম্পিউটারবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৯৯ সালে যোগ দেন তথ্য খোঁজার বিশ্বসেরা ওয়েবসাইট গুগলে। এই প্রতিষ্ঠানে তিনিই প্রথম নারী প্রকৌশলী। পরে কাজ করেন পরিচালনা পর্ষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে। গুগলের সার্চ ইঞ্জিন (অনলাইনে তথ্য খোঁজার ওয়েবসাইট), মূল পাতা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি তিনি কাজ করেছিলেন গুগলের মানচিত্রসেবায়ও। এর পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুপার-হিউইট, ন্যাশনাল ডিজাইন মিউজিয়াম, সানফ্রান্সিসকো মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট, ওয়ালমার্ট ইত্যাদি। ২০০৯ সালে রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী জ্যাকারি ভোগকে বিয়ে করেন। সম্প্রতি মা হয়েছেন তিনি। নিত্যনতুন উদ্ভাবন আর ব্যবসায়িক দিক থেকে অত্যন্ত সফল মেয়ার কাজ করতে পছন্দ করেন। নতুন চমক দিয়ে প্রযুক্তি বিশ্বে তিনি হয়তো পরবর্তী স্টিভ জবস হয়ে উঠতে পারেন। তবে মেয়ারের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ইয়াহুকে বর্তমানে ফেসবুক ও গুগলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহীর পদে এক বছরে চারজন বদল হয়েছেন। এমন একটি পরিস্থিতিতে ইয়াহু নিয়ে মেয়ার কতটা এগোতে পারবেন, তাঁর ওপর নির্ভর করছে মেয়ারের স্টিভ জবস হয়ে ওঠা।
এলন মাস্ক, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা
স্টিভ জবসের সঙ্গে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মাস্কের মিল পাওয়া যায় আত্মবিশ্বাসে। আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এলন মাস্ক ১৭ বছর বয়সেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি অবশ্য ভিডিও গেম তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর বয়সের সঙ্গে এলন মাস্ক হয়ে ওঠেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। তাঁর নামের পাশে লেখা যায় পেপালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, টেসলা মোটর্স ও মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী হিসেবেও। তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানের তৈরি মহাকাশ যানে করে মঙ্গলগ্রহ জয় করার স্বপ্ন দেখেন। স্টিভের মতোই আকাশছোঁয়া সম্ভাবনার আকাক্সক্ষা তাঁর মনে। তিনি তাঁর কাজকে পছন্দ করেন এবং দলনেতা হিসেবেও সফল। তাঁর পক্ষে স্টিভ জবস হয়ে ওঠা সম্ভব। স্টিভ জবসের মতোই মানুষের পছন্দের কথা ভেবে পণ্য তৈরিতে এলন মাস্কের ভূমিকার কারণে তিনিই পরবর্তী স্টিভ জবস হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু এলন মাস্ককে এ জন্য স্টিভ জবসের মতোই সাধারণ মানুষের পণ্য তৈরির জন্য কাজ করতে হবে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024