স্বদেশ জুড়ে: বুধবার গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধীদলীয় নেতাকে খালেদা জিয়াকে সংসদে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পার্লামেন্টে আসেন, বসেন। যা বলার বলেন। সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ধারা মেনেই আগামী সাধারণ নির্বাচন হবে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে তা বয়কটের হুমকি রয়েছে তারা। এরই জবাবে বর্ধিত সভায় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নির্বাচন গণতান্ত্রিক ধারায় হবে। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না- এমন কোনো অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন হবে না। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত হওয়ায় এখন নির্বাচিত অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, হুমকি-ধামকি, হত্যা-ধ্বংস বন্ধ করে সংসদে আসেন। সমস্যা থাকলে সমাধানের কথা বলেন। খাল কেটে কুমির আনবেন না। আপনাকেই আগে কামড়াবে। অগণতান্ত্রিক ধারার’ দিকে না গিয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় থাকার জন্য বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক, তত্ত্বাবধায়ক না করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে নির্বাচন করতে যা করার তা করেন। তত্ত্বাবধায়ক কোন মতেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়্ গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণ ভোট দিলে আছি। না দিলে নাই। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই সরকার করবে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
Leave a Reply