রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১

মালয়েশিয়া গেলে সঙ্গে যা যা রাখবেন

মালয়েশিয়া গেলে সঙ্গে যা যা রাখবেন

কায়সার হামিদ হান্নান: পড়ালেখা, ব্যবসা অথবা চাকরির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানো নাগরিকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভ্রমণের সময় এবং অর্থ আর সব দেশের তুলনায় কম হওয়ায় খুব সহজেই বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় যাওয়া আসা করতে পারেন।

তবে যেকোনো নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে সেখানকার আর্থ-সামাজিক ও  পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে কিছুটা পূর্ব ধারণা নিয়ে রাখলে  চলাফেরা সহজ হবে। চাকরি, ব্যবসা কিংবা পড়ালেখার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুকদের সুবিধায় তাই  কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ  নিয়েই এ প্রতিবেদন।

একটি মাত্র ঋতুর দেশ মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে খুব বেশি শীত পড়েনা। জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারির দিকে হালকা ঠাণ্ডা পড়ে। ভারী শীতের কাপড়ের খুব একটা দরকার পড়েনা। তবে যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে কাজ করতে হয় তাদের জন্য ভারী জ্যাকেট দরকার হয়। এছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রচুর বৃষ্টি হয়। তাই রেইনকোর্ট সঙ্গে রাখা ভালো।

সুকটেস ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে এটা কেনার আগে অবশ্যই এর আকারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সুটকেসের আকার ২৪ থেকে ২৬ সাইজের মধ্যে হলেই ভাল। মোট কথা বহনের সুবিধা, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেয়া এবং ওজনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, উড়োজাহাজ ভেদে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বিনা শুল্কে বহন করতে পারবেন। এছাড়া ক্লাসে বা অফিসের যাওয়ার জন্য এমন একটি ব্যাগ নিতে হবে যাতে অল্প কাপড় এবং ল্যাপটপ বহন করা যায়।

মালয়েশিয়ায় শিক্ষা উপকরণের দাম তুলনামূলক বেশি। তাই প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণগুলো যতটা সম্ভব সঙ্গে নিয়ে নিতে হবে। যেমন ক্যালকুলটের, কলম, পেন্সিল, ইরেজার, স্কেল, স্ট্যাপলার, পাঞ্চিং মেশিন, মার্কার, পেপার গ্লু, কাঁচি, বই, খাতা ইত্যাদি। এছাড়া মালয়েমশিয়ায় চশমার দাম খুবই বেশি।

সঙ্গে সার্টিফিকেটসহ দরকারি সব কাগজপত্রের হার্ডকপি এবং স্ক্যানিং কপি সঙ্গে নিতে হবে। চার থেকে পাঁচ কপি সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজ এবং দুই কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি আনতে হবে। অপরিচিত বা নতুন পরচিতি কারো হাতে মালামাল বা হাতব্যাগ দিয়ে কোথাও যাওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা।

যদিও মালয়েশিয়ায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব আছে, তারপরও সঙ্গে একটি ল্যাপটপ নেয়া ভাল হবে। সেখানে অন্যান্য শিক্ষা উপকরণের দাম বেশি হলেও ডেস্কটপ কম্পিউটারের সরঞ্জামের দাম তুলনামূলক কম। পাইরেটেডে সফটওয়্যার ডিস্কে রাইট করে আনলে উপরে লেবেল বা সফটওয়্যারের নাম লেখা যাবেনা।  কোন সিডি আনলে দোকানের রশিদ অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন।

মোবাইল ফোনের দাম মালয়েশিয়ায় তুলনামূলক কম হলেও একটি মোবাইল ও অল্প কিছু মালয়েশীয় রিঙ্গিত সঙ্গে নেয়াই শ্রেয়। বিমানবন্দরের টার্মিনাল পার হলেই সিম কিনতে পারবেন। মূল্য ৫ রিঙ্গিত থেকে সর্বোচ্চ ১৮ রিঙ্গিত হতে পারে। ‘ইউ মোবাইল’ ও ‘ডিজি’র কলরেট তুলনামূলক কম।
শিক্ষার্থী ভিসায় এলে সর্বোচ্চ এক হাজার ডলার বৈধভাবে এন্ডোর্স করে আনা যাবে। তবে সরাসরি সরকারী ব্যাংক করা ভাল।  এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার, ভিসা স্টিকার ও উড়োজাহাজ টিকেট লাগতে পারে। তবে এক হাজার ডলারের বেশি নিতে চাইলে যেকোন ব্যাংকে শিক্ষার্থী ফাইল খুলে সরাসরি ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিতে হবে।

প্রেসক্রিপশনসহ কিছু ওষুধ, এক্সরে রিপোর্ট (যদি থাকে) ও প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম সঙ্গে রাখা ভালো।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024