স্বদেশ জুড়ে: জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার অন্যতম সাক্ষী ও ভারতের দমদম কারাগারে বন্দী বহুল আলোচিত সুখরঞ্জন বালিকে বাংলাদেশে পুশব্যাকের প্রস্তুতি চলছে। গত দুদিন ধরে বাংলাদেশে এই সুখরঞ্জনকে নিয়ে প্রচুর হৈচৈ শুরু হয়েছে। নিখোঁজ সুখরঞ্জন বালিকে পুশব্যাকের চেষ্টা চলছে বলে পশ্চিমবঙ্গের কারা দপ্তর সুত্রে এই খবর জানা গেছে।
প্রসঙ্গত: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদ-াদেশ পাওয়া জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার অন্যতম সাক্ষী ‘নিখোঁজ’ সুখরঞ্জন বালি এবং দমদম কারাগারে বন্দী সুখরঞ্জন বালা একই ব্যাক্তি। সুখরঞ্জন গত ৫ই নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চত্বর থেকে ‘নিখোঁজ’ হন। অভিযোগ আছে, তাকে ট্রাবুনালের গেট থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। সুখরঞ্জন শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী থাকলেও পরে তিনি পক্ষ পরিবর্তন করে সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী হতে রাজি হন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার স্বরূপনগর এলাকা থেকে সুখরঞ্জনকে গ্রেপ্তার করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাকে স্বরূপনগর থানা হেফাজতে পাঠানো হয়। তবে সেসময় নথিতে সুখরঞ্জন বালার নাম সুখরঞ্জন বালি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বসিরহাট আদালতে তার যে নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, তা হল, নাম সুখরঞ্জন বালা, বাবার নাম প্রয়াত ললিত রঞ্জন বালা, গ্রাম: পাড়ারহাটি, থানা গঙ্গারামপুর, জেলা পিরোজপুর, বাংলাদেশ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় ২৫ ডিসেম্বর। পরদিন তাঁকে বসিরহাট আদালতে হাজির করে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়। বসিরহাটের আদালত সুখরঞ্জনকে ১১০ দিনের কারাদ- দেন। সেই করাদন্ডের মেয়াদ কিছুদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন সুত্রে দাবি করা হয়েছে, কারা দপ্তরের আধিকারিকরা তার কাছ থেকে প্রকৃত সত্য জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেন।তবে দমদম কারাগারে বন্দী সুখরঞ্জন এ ব্যাপারে কারা দপ্তরের কাছে কোনও কিছু বলতে রাজি হননি বলে কারা সূত্র জানিয়েছে। তবে তাকে আইনি সহায়তা দেবার নাম করে একজন মহিলা দমদম কারাগারে গিয়ে সুখরঞ্জনের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন বলে জানা গেছে। এই মহিলা আসলে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিনিধি হিসেবেই সুখরঞ্জন সম্পর্কে তথ্য সংগহ করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply