শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: হালনাগাদে নিবন্ধিত প্রায় ৪৭ লাখকে নিয়ে ৯ কোটি ৬২ লাখের মতো ভোটার দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে। শুক্রবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। ২ জানুয়ারি জেলা, উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সারা বছরই ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকে বলে জানান সিরাজুল ইসলাম।
এছাড়া তিনটি ওয়েবসাইটে (www.ec.org.bd, www.ecs.gov.bd, www.sevices.nidw.gov.bd ) তা প্রকাশ করা হবে। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাদ পড়া ভোটাররা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে নিবন্ধিতদের তথ্য সংশোধন ও ভোটার অযোগ্যদের বিষয়ে আপত্তি জানাতে পারবেন। ২২ জানুয়ারির মধ্যে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান ইসি সচিব।
গত ১৫ মে থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ১৭৬ জন নতুন ভোটার নিবন্ধিত হন। তাদের নিয়ে সর্বমোট ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং নারী ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হয়েছে, তারাই এবার নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ছবিসহ ভোটার তালিকার যাত্রা শুরুর পর নবম সংসদের আগে ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি ভোটার হয় প্রথমবার।
এরপর ২০১০ সালে হালনাগাদে যোগ হয় প্রায় ৪৭ লাখ, ২০১২ সালে যোগ হয় প্রায় ৭০ লাখ ভোটার। এবার হালনাগাদের সময় ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯০১ জন মৃত ভোটার বাদ দেওয়া হয়। রোহিঙ্গা সহায়তাকারীদের বিষয়টি তদন্তাধীন ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম থাকলে তা চিহ্নিত করে সংশোধন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসির সচিব সিরাজুল ইসলাম। কক্সবাজার, বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলায় রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার প্রবণতার কথা তুলে ধরেন তিনি।
ওইসব এলাকায় বিশেষ কমিটি রয়েছে। এরপরও যদি কোনো বিদেশি নাগরিক বিশেষ করে রোহিঙ্গা ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে থাকে- এ বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজনীয় তদন্ত করে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে। কক্সবাজার জেলায় সাংসদ আব্দুর রহমান বদিসহ জনপ্রতিনিধি ও নির্বাচন কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনও ইসিতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সচিব বলেন, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরুর পর রোহিঙ্গা সন্দেহে ২০১০ সালে প্রায় ৫০ হাজার ও ২০১২ সালে প্রায় ১৭ হাজার নিবন্ধন আবেদন বাতিল করা হয়। এবারও বিশেষ কমিটি কয়েক হাজার আবেদন বাতিল করেছে বিশেষ এলাকায়।