স্বদেশ জুড়ে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, শুধু সদস্যপদ রক্ষার জন্য নয়, দাবি নিয়ে আলোচনা করতে সংসদে আসুন। সংসদে এসে উঁকি দিয়ে চলে যাবেন না। সংসদীয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটা এগিয়ে যাক।
সংসদ সদস্যপদ টিকিয়ে রাখতে বিরোধী দল সংসদে আসছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯০ দিনের মধ্যে বিরোধী দলের অনুপস্থিতির ৮৩ দিন চলে গেছে। আর মাত্র ৭ দিন সংসদে না এলে তারা সদস্যপদ হারাবেন। তবে অনুরোধ করবো, সংসদে আসুন, কিন্তু আসন রক্ষা করে উঁকি দিয়ে চলে যাবেন না। সামনে বাজেট অধিবেশন। সেখানে এসে আলোচনা করুন। সংসদীয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটা এগিয়ে যাক।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনো বলছি, বিশ্বের সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও একইভাবেই নির্বাচন হবে। বিরোধী দলীয় নেতার যদি কোনো বক্তব্য থাকলে সেটা সংসদে এসে বলুন। আমরা বিবেচনা করবো। বিরোধী দলের নেতা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেছিলেন, আমি না-কি পালাবারও পথ খুঁজে পাবো না। এখন পালানোর পথ কে খুঁজে পাচ্ছেন না- সেটাই আমার প্রশ্ন। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়, তারা অশান্তি চায় না। তারা যাতে শান্তিতে থাকে, সেটাই আমরা করবো। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে আমরা দেবো না।
সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা শুরু হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। মানুষ খুন, ধ্বংসযজ্ঞ ও জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করতে হবে। না হলে এগুলো কিভাবে কঠোরভাবে দমন করতে হয় সেটা আমরা জানি। বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তার একটি স্টাইল আছে। সংসদে একদিনের জন্য আসেন। এক-দেড় ঘণ্টা বক্তৃতা দিয়ে চলে যান। এটা যেন না হয়।
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নূহ-উল-আলম লেনিন, সতীশ চন্দ্র রায় প্রমুখ।
Leave a Reply