স্বদেশ জুড়ে ডেস্ক: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে তিন কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন, যাদের শতকরা ৯০ ভাগই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বিটিআরসি’র হিসাবে বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছেন। এতো সংখ্যাগরিষ্ট গ্রাহক থাকা সত্ত্বেও ৯ বছরেও মোবাইল ইন্টারনেট মূল্য কমেনি বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
২০০৪ সালে প্রতি মেগাবাইট ব্যান্ড উইথের মূল্য ছিল ৭২ হাজার টাকা, বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬ হাজার টাকায়। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে গ্রাহকদের হয়রানি বা প্রতারণা ঠেকাতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য ১৪টি প্রস্তাবিত নির্দেশনা নিয়ে গ্রাহকের মতামত নেয় বিটিআরসি। পরবর্তীতে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের ফি কমানোর বিষয়টি ছাড়া সবকয়টিতে নির্দেশনাও আসে। এর মধ্যে রয়েছে মোবাইলের প্রি-পেইড গ্রাহকদের আউট গোয়িং কলের পরেই সময়, কল চার্জ ও ব্যালেন্স জানানো, ভয়েস বেইজড বিজ্ঞাপন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের নিয়ম ও সিম কার্ড মেয়াদ নির্ধারণের নির্দেশনা।
মোবাইল ফোনে ব্যবহারভিত্তিক ইন্টারনেট সংযোগের ফি কমানোর বিষয়ে গ্রাহকের মতামত নেয়া হয়েছে তাও সাত মাস হলো। তবে সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। ফলে গুণতে হচ্ছে সেই পুরনো হারে, প্রতি কিলোবাইট দুই পয়সা। যা ২০০৪ সাল থেকে ইন্টারনেটে প্রতি কিলোবাইট তথ্য আদান-প্রদানের জন্য তাদের গুণতে হচ্ছে একই হারে। যদিও এই নয় বছরে ইন্টারনেট ব্যান্ড উইথের মূল্য কমেছে কয়েক গুণ।
বর্তমানে মোবাইল ফোনের নতুন সংযোগে পি-১ প্যাকেজে (পে এজ ইউ গো) অর্থাৎ, ব্যবহারভিত্তিক ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে ২ পয়সা/কিলোবাইট হারে বিল কেটে নেয়া হয়। প্রস্তাবিত নির্দেশনায় পি-১ প্যাকেজের মূল্য অর্ধেক করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কোনো গ্রাহক পি-১ প্যাকেজের ১০০ টাকা সীমা অতিক্রম করার পর প্রচলিত অন্য কোনো প্যাকেজে মাইগ্রেট না করলে মাসের বাকি সময়ের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পরের মাসের প্রথম দিনে পি-১ প্যাকেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করার কথা ছিল।
এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস এর কাছে এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট খরচ কমানোর জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বিটিআরসির পক্ষ থেকে। তবে এ বিষয়ে আমরা মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আশা করছি শিঘ্রই সমাধান আসবে।
Leave a Reply