শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পরিচয়পত্রের ইলেক্ট্রনিক কার্ড-স্মার্টকার্ড ভবিষ্যতে ই-পাসপোর্ট হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ। রোববার (১৮ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ২টার দিকে নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দিন দিন জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তাই একে উন্নতমানের করে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে শিগগিরই। এতে ২৫টি নিরাপত্তা কোড রয়েছে। যা সহজে কেউ নকল করতে পারবে না। মহাপরিচালক বলেন, উন্নতমানে এই কার্ড ব্যবহার করে ২০ ধরনের নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ভবিষতে ই-পোসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন সেবাসহ বহুবিধ ব্যবহারে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
তিনি জানান, এই কার্ড এতই বহুবিধ কাজে ব্যবহার করা যাবে যে, তা এখন ধারণাই যাচ্ছে না। কেননা এটি পৃথিবীর যে কোনো দেশের স্মার্ট কার্ডের চেয়ে বেশি মেমোরি সম্পন্ন কার্ড। আইডি কার্ডটিতে কোনো ভুল থকালে অনলাইনেই সেই ভুল সংশোধনের সুযোগ থাকবে।
ইতোমধ্যে, একটি অত্যাধুনিক সফটওয়্যার কেনা হয়েছে। সোমবার কমিশন বৈঠকে অনুমোদন হলে আগামী ৭ দিনের মধ্যেই এ সুযোগ অবারিত করা হবে। ফলে অনলাইনেই ভুলগুলো সংশোধন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ফরম পূরণের পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তার সাথেই যোগাযোগ করতে হবে বলে জানান সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে ৯ কোটি নাগরিককে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ৬ মিলিয়ন করে ধাপে ধাপে কার্ডগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। আগামী এপ্রিল-মে মাসে প্রথম ধাপের কার্ডগুলো পাবেন নাগরিকরা। এক্ষেত্রে যাদের বর্তমানে পরিচয়পত্র আছে তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। এই কার্ডের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করাসহ দুর্নীতি দমনও সহজ হবে বলেও তিনি মনে করেন।
কার্ড সংশোধনে ভোগান্তির বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ভালোভাবে দেখে আবেদনপত্র পূরণ করেই একজন নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ তার দেওয়া তথ্য সংশোধন করতে হলে সুনির্দিষ্ট কারণ অবশ্যই দেখাতে হবে। ভুল সংশোধনের ইনটেনশন দেখেই আমরা আবেদন আমলে নিই। কারও আবেদনের সতত্যা থাকলে তাকে কিন্তু ভোগান্তিতে পড়তে হয় না। তাই যারা সংশোধনের জন্য আসবেন নিশ্চয়ই প্রমাণ দেখিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারলেই কেবল কার্ড সংশোধন করা হবে। কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করা হলে তা বরদাস্ত করা হবে না বলেও উল্লেখ করেন সামরিক এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আমার অফিসে কেউ যদি দুর্নীতির আশ্রয় নেয় বা দালাল থাকলে তাদের ধরিয়ে দিন। আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেব। বর্তমানে দেশে ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটার রয়েছেন। এবার হালনাগাদের আরও প্রায় ৫০ লাখ নাগরিক নতুন করে ভোটার হতে নিবন্ধন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মুখলেসুর রহমান, জনসংযোগ পরিচালক আসাদুজ্জামান প্রমুখ।