নিউজ ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে তার জন্য বিশেষ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লন্ডনস্থ বাংলাদেশে হাইকমিশন এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। ওই পাসপোর্ট নিয়ে তিনি দেশে আসতে পারবেন। এই ব্যাপারে কোন সমস্যা হবে না। এই কথাগুলো বলেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। খবর আমাদের সময়.কম।
তিনি আমাদের সময় .কম ও আমাদের অর্থনীতিকে সোমবার দুপুরে বলেন, তারেক রহমান একজন ফেরারী আসামী। তার বিরুদ্ধে দেশে অনেক মামলা রয়েছে। ওই সব মামলাতে তারা বিরুদ্ধে অনেকগুলোতে গ্রেপ্তারী পরোয়ানাও রয়েছে। এই কারণে তিনি দেশে আসলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে একটু কমও হবে না একটু বেশিও হবে না। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদেরও কোন উপায় নেই। তার ভাই মারা গেছেন। ভাইয়ের লাশ নিয়ে তিনি দেশে আসতে চাইলে কিংবা এমনিতেও তিনি জানাজায় অংশ নিতে আসতে চাইলে সেটা আসতে পারবেন। এই ব্যাপারে সরকার তাকে দেশে আসতে কোন ধরনের বাঁধা দিবে না।
তিনি বলেন, তবে তার দেশে আসার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে সেটা পালন করতে হবে। আমি যতটুকু জানি তিনি বাংলাদেশে থেকে যখন যান ওই সময়ে তার পাসপোর্টে যে মেয়াদ ছিল সেটা আর বাড়াননি। আর না বাড়ানোর কারণে তাকে নতুন করে পাসপোর্ট নিতে হবে। মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে হবে না। কারণ এখন তার সেখান থেকে ভ্রমন করার জন্য এমআরপি পাসপোর্ট দরকার। সেই পাসপোর্ট নিতে চাইলে পাবেন। পাসপোর্ট ইস্যু করতে আইনী কোন বাঁধা নেই।
এটা কি একদিনে করা সম্ভব? এই ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা একদিনে করা সম্ভব হবে না। এই জন্য সময় লাগবে। তাকে এমআরপি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। সেটা করার পর তাকে অপেক্ষা করতে হবে। জরুরী নিতে চাইলে ৩-৫ দিন লাগতে পারে। আর সাধারনভাবে নিতে চাইলে ১০-১১ দিনও লাগতে পারে। সেই ক্ষেত্রে তাকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে যেটা শুনেছি যে তিনি তার ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিতে আসতে চান। আবার এদিকে বলা হচ্ছে মঙ্গলবার তার ভাইয়ের লাশ আসার কথা। সেটা যদি হয় তাহলে তাকে একদিনের মধ্যেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আমি মনে করি তিনি যদি সত্যি সত্যি দেশে আসতে চান তাহলে সরকার তাকে কোন ধরনের বাঁধা দিবে না। দেশে আসার জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিবে। ভাইয়ের জানাজার বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করেই দেখা হচ্ছে। আজকের মধ্যে তিনি লন্ডনস্থ বাংলাদেশে হাইকমিশনে দেশে আসার জন্য পাসপোর্টের আবেদন করলে সেখানকার কর্মকর্তারা তার নামে বিশেষ পাসপোর্ট ইস্যু করবে। এই বিশেষ পাসপোর্ট দিনে দিনেই ও অল্প সময়ের মধ্যেই ইস্যু করা সম্ভব। আর যে বিশেষ পাসপোর্ট দেওয়া হবে সেটা তিনি তার দেশে আসতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। দেশে আসতে পারবেন।
আপনারাতো বলছেন, তিনি দেশে আসলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে সেটাতো জানাজার পরেও করা যেতে পারে তাই না? তিনি বলেন, আসলে এটা আমাদের আইনী বাঁধা। আইনী বিষয়গুলোকে আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না। সেটাতো মানতে হবে। আগে তিনি দেশে আসুক। দেশে আসার পর প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এমনতো নয় যে তাকে দেশে আসার পর তার ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না। গ্রেপ্তার হলেও তিনি চাইলে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে। এতে তিনি ভাইয়ের জানাজার সকল অঅনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা ও জানাজার নামাজেও অংশ নিতে পারবেন। আপনাদের কাছে তার আসার ব্যাপারে কি খবর আছে, তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে তবে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
তিনি চাইলে তার নামে বিশেস পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য কোন নির্দেশনা বাংলাদেশে হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন কিছু নয়। তবে আমরা এটা জানি তাকে কোন বাঁধা দেওয়া হবে না। যদি তিনি আবেদন করেন এরপর কোন সমস্যা হলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।