প্রশিক্ষিত পর্বতারোহীরা ছাড়া সাধারণ মানুষ যাদের পাহাড় চড়ার শখ রয়েছে তারা এভারেস্ট চূড়া জয় করতে পারবেন না, সেটা কেমন দেখায়! তাই এভারেস্টে গেলেই এখন দেখা মিলবে বহু বেস ক্যাম্পের যেখানে পর্বতারোহীদের সঙ্গে সহাবস্থান করছেন আগ্রহী বহু পর্যটক। তারাও এভারেস্টের চূড়ায় যাচ্ছেন।
তাদের এ আকাংক্ষা পূরণে অদম্য সাহসী গাইডরা মুখ্য ভূমিকা রাখছেন। আর এ শখ পূরণের সুযোগও রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ৫০ হাজার ডলার দিয়ে পাওয়া যায় অনুমতিপত্র ও ২৯ হাজার ২৯ ফুট উঁচু এভারেস্ট আরোহনের যাবতীয় সরঞ্জাম। তাই ভিড় সামলানোই যেন দায় হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি পয়েন্টের চূড়ায় দেখা যাচ্ছে বহু মানুষকে। কখনো কখনো চূড়ায় দেখা যায় একই সঙ্গে ২০০ জন শখের পর্বতারোহীকে। তারা সবাই চান শীর্ষ চূড়াটি জয়ের স্বাদ নিতে। এর চরম মূল্যও দিতে হচ্ছে। প্রাণহানির সংখ্যা তাই তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়েছে।
১৯৫৩ সালে হিলারি ও তেনজিং যে যাত্রা শুরু করেছিলেন, সে পথে পা বাড়িয়েছেন হাজারো দুঃসাহসী অভিযাত্রিক। এরপর ১০ হাজার মানুষ এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে সফল হয়েছেন মাত্র ২,৫০০ পর্বতারোহী। ট্যুর অপারেটরগুলো সার্বক্ষণিক সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে আরও উপভোগ্য ও সহজ করে তুলেছে এভারেস্ট যাত্রাকে। নেপালের কয়েকজন কর্মকর্তা জানালেন, প্রায় ২০০ মানুষ এ সপ্তাহান্তে এভারেস্ট চূড়া জয় করতে যাত্রা শুরু করবেন।
Leave a Reply