নিউজ ডেস্ক: চলছে টানা অবরোধ। কার্যালয়ে অবরুদ্ধ দিন কাটাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিরোধী জোটের তরফে দফায় দফায় আসছে হরতাল কর্মসূচি। কিন্তু চলমান আন্দোলনের মাঠে দেখা মিলছে না দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের। তিনি শুধু দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরামের সদস্যই নন, রাজনীতির নিউক্লিয়াস খ্যাত ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়কও।
আন্দোলনে ব্যর্থতার অভিযোগে ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার নেতৃত্বাধীন কমিটি ভেঙে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল মির্জা আব্বাসকে। বিএনপি’র চেয়ারপারসন যখন অবরুদ্ধ, শীর্ষ নেতারা যখন কারাভোগ করছেন, কেউ কেউ হামলা-মামলার শিকার হয়েও যখন সরব; তখন কোথাও নেই মির্জা আব্বাস। না রাজপথে, না ঘরোয়া বৈঠকে। বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ ব্যারিকেড তুলে নেয়ার পর জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সে বৈঠকে যাননি তিনি।
এমনকি দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতেও দেখা মিলেনি তার। চেয়ারপারসনকে সমবেদনা জানাতে গুলশানে বা জানাজায় শরিক হতে বায়তুল মোকাররম- কোথাও যাননি তিনি। এদিকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর বাসায় পুলিশি তল্লাশি, কয়েকজনের বাসায় ককটেল ও গুলিবর্ষণ এবং একজন সিনিয়র নেতা দুর্বৃত্তদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হলেও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় তাদের বেশির ভাগ।
কিন্তু কয়েকবার বাসায় পুলিশি তল্লাশির পর আত্মগোপনে গেছেন মির্জা আব্বাস। আন্দোলনের পক্ষে একটি বিবৃতিও দেননি তিনি। চলমান আন্দোলনে ঢাকা মহানগরের খোকাপন্থি নেতাদের অনেকে গ্রেপ্তার হলেও নিরাপদে রয়েছেন মির্জা আব্বাসসহ তার অনুসারীরা। দলীয় ফোরামে অভিযোগ রয়েছে, মহানগর নেতৃত্বকে সক্রিয় করতেও প্রতিবদ্ধকের ভূমিকায় রয়েছেন তিনি।