শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সম্পর্কের ভাগাভাগি আনা যায় না। শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই), ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কর্মাস, কলকাতা (আইসিসি) আয়োজিত ব্যবসায়ীদের সভা এবং বাংলাদেশ ও ভারতের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মমতা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে একটি কবিতাও আবৃত্তি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
বেলা একটার দিকে হোটেল সোনাগাঁওয়ে আয়োজিত বৈঠকী বাংলায় যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা যোগ দেন। অনুষ্ঠানে নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, দুই দেশের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। মমতার এই সফর দুই দেশের মানুষের মধ্যে সেতু তৈরি করবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা কমানোর আহ্বান জানান।
নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু দুই দেশের মধ্যে চলচ্চিত্র বিনিময়ের আহ্বান জানান। নাট্যব্যক্তিত্ব আলী জাকের বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে সেতু হবেন। বৈঠকী বাংলায় দুই বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতের সমাবেশ হয়। গান, কবিতায় ভরপুর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান। সেখানে গান গেয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও নচিকেতা।
বিকেলে গণভবনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর দেখবেন। সন্ধ্যা ছয়টায় ভারতীয় হাই কমিশনারের বাসায় যাবেন। একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহীদ মিনারে যাবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি গতকাল তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে।
এ প্রসঙ্গে দায়িত্বশীল একজন কূটনীতিক বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন। অমীমাংসিত সমস্যার বিষয় এলেও সম্পর্ক নিবিড় করাতে গুরুত্ব থাকবে।