সুমন আহমেদ: আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের রানীর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েস। বাকিংহাম প্যালেসে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। পরিচয়পত্র পেশকালে রানীকে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান হাইকমিশনার।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিজের পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্দেশে হাইকমিশন ভবন থেকে বিশেষ ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাকিংহাম প্যালেসে যান হাইকমিশনার মিজারুল কায়েস। পরিচয়পত্র গ্রহণ করে রানী আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে ব্রিটেন-বাংলাদেশ পারষ্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় ভিত্তি পাবে। দায়িত্ব পালনকালে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাসও দেন রানী।
পরিচয়পত্র পেশ করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করে মিজারুল কায়েস সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিটেনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের রয়েছে একটি ঐতিহাসিক ভিত্তি। শীর্ষ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সুখে-দুঃখে ব্রিটেন সময় পাশে রয়েছে। বাংলাদেশের জন্মলগ্নকালীন মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটেনের জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা আমাদের ইতিহাসের অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ব্রিটেন-বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ্য করে হাইকমিশনার বলেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়, যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজন ব্রিটেন প্রবাসীসহ সবার সহযোগিতা। তিনি তার ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সাংবাদিকদের কাছে।
প্রসঙ্গত: কূটনৈতিক প্রথা অনুযায়ী, গত ১৫ মে তিনি বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। বাংলাদেশ সরবকারের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খানের স্থলাভিষিক্ত হয়ে লন্ডনে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইতিমধ্যে।
Leave a Reply