আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মতামত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। ইরানের সঙ্গে সই হতে যাওয়া পরমাণু চুক্তি নিয়ে নেতানিয়াহুর খোলামেলা নিন্দাসূচক বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের সম্পর্কে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে বলে বুধবার অভিযোগ করেছেন তারা।
আগামী মঙ্গলবার ইরান হুমকি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগে দেশ দুটির মধ্যে পরস্পরবিরোধী বাক্য বিনিময়ের পরিমাণ বাড়ছে। তেহরানকে পরমাণু বোমা বানানো থেকে বিরত করার প্রতিশ্রুতি বিশ্ব শক্তিগুলো পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতানিয়াহু।
অপরদিকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনায় যুক্ত থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, নেতানিয়াহু সম্ভবত ভুল অবস্থানে রয়েছেন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এক শুনানিতে কেরি বলেছেন, “তার একটি মতামত থাকতে পারে, তবে এখানে তা ঠিক বলে মনে হচ্ছে না।”
মঙ্গলবার নেতানিয়াহু কী বলেন তা শোনার জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন কেরি। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান দল নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দলটি নেতানিয়াহুর ইরান চুক্তি বিরোধী অবস্থানকে সমর্থন করে।
কেরি বলেছেন, জর্জ বুশের আমলে ইরাক দখল করার গুরুত্ব তুলে ধরে ব্যাপক বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে সামনে থেকে প্ররোচনা চালিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। সেই সিদ্ধান্তের ফল কী হয়েছে আমরা সবাই জানি।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা সুসান রাইসের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন আর্নেস্ট, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ককে দলীয় রাজনীতির বিষয়ে পরিণত না করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন, এটি ধ্বংসাত্মক হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন।
তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ককে রিপাবলিকান ও লিকুদ পার্টির সম্পর্কে পরিণত হতে দেয়া যায় না। নেতানিয়াহুকে কংগ্রেসে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে প্রথা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ওবামা বা কংগ্রেসের ডেমক্রেট দলীয় সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করেনি রিপাবলিকানরা।
আর সামনে ইসরায়েলের জাতীয় নির্বাচন (১৭ মার্চ) থাকায় কাছাকাছি হয়ে যায় বলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ওবামা। কিছু বিশেষ তথ্য ফাঁস করে দিয়ে ইরান আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দুর্বল করার জন্য গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছিল।
এদিকে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচীকে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে নিয়োজিত বলে বরাবর দাবি করে আসছে ইরান।