আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকার অন্যতম কট্টরপন্থী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্য জিহাদি জন। আইএসের প্রকাশিত শিরোñেদের বেশ কয়েকটি ভিডিওতে জনকে দেখা গেছে উদ্যত ছুরি হাতে এবং কালো মুখোশ পরিহিত অবস্থায়। সুস্পষ্ট বৃটিশ উচ্চারণে কথা বলা ওই আইএস সদস্যের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। জিহাদি জনের আসল নাম মোহাম্মদ এমওয়াজি। বৃটিশ নাগরিক এমওয়াজি পশ্চিম লন্ডনের বাসিন্দা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা টিএনএন।
ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি, গার্ডিয়ানসহ শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ-মাধ্যমে কোন সূত্র উল্লেখ না করে জিহাদি জনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। লন্ডনের কিং’স কলেজের ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব র্যাডিকালাইজেশন’ মনে করছে প্রকাশিত পরিচয়টি সঠিক ও নির্ভুল।
তবে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ একে নিছক ‘অনুমান’ বলেই মনে করছে। এমওয়াজির বয়স ২৫ বছরের আশপাশে এবং সে কুয়েতি বংশোদ্ভূত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃটিশ নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এমওয়াজিকে চেনে বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়েস্টমিনিস্টার ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয়ের ছাত্র ছিল এমওয়াজি। গ্রিনউইচের একটি মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তো সে। ৬ বছর আগে এমওয়াজি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ অভিযোগগুলো সত্যি হলে, আমরা মর্মাহত ও পীড়িত বোধ করবো। ২০১৪ সালের আগস্টে প্রথম একটি ভিডিওতে দেখা যায় জিহাদি জনকে। মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলির শিরোচ্ছেদ করেছিল সে।
মার্কিন সাংবাদিক স্টিভেন সটলফ, বৃটিশ সাহায্যকর্মী ডেভিড হেইন্স, বৃটিশ ট্যাক্সিচালক অ্যালান হেনিং ও মার্কিন সাহায্যকর্মী আবদুল রহমান কাসিগের শিরোñেদেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার, এমনটা মনে করা হয়। জাপানি জিম্মি হারুনা ইউকাওয়া ও কেঞ্জি গোতোর সঙ্গে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে তাকে। তাদেরকেও হত্যা করা হয়। অনলাইনে আইএসের প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে জিহাদি জনকে কালো পোশাকে দেখা গেছে। শুধু তার চোখ দুটো খোলা ছিল এবং হাতে ছিল ধারালো ছুরি। এর আগে বৃটেন দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান অভিযানে গুরুতর আহত হয়েছে জিহাদি জন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জিহাদি জনকে জীবিত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।