শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ হাউজ অব লর্ডসের ফরেন অফিসর মূখপাত্র লর্ড ওয়ালেস। সংকট নিরসনে ব্রিটিশ সরকারের সাধ্যমত সহযোগীতা প্রদানে আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। ২৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ব্রিটিশ হাউজ অব লর্ডসে কমিটি কক্ষে রাজনৈতিক অচল অবস্থা নিরসনে ব্রিটিশ সরকারের জরুরী সহায়তা কামনা করে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে মানবাধিকার সংগঠন এনআরবি ফাউন্ডেশন, সেন্ট্রাল ফর সোসাল ডেভোলাপমেন্ট এবং সিটিজেন মুভমেন্টে ইউকে।
এতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা উপর উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, হাউজ অব লর্ডসের সদস্য লর্ড কোরবান হোসেন। এনআরবি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মফিদ আহম্মেদের পরিচালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর রাজ হক।
এসময়ে সেন্ট্রাল ফর সোসাল ডেভোলাপমেন্টের চেয়ারম্যান মাহিদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে আইনের শাষন বলতে কিছুই নেই। বিরোধী দলের গনতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের জন্য অন্যায়ভাবে আইন শৃংখলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। তিনি আরো বলেন, প্রায় দুইমাস থেকে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দলের কার্য্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সম্পূর্ন আমানবিক ভাবে তাকে খাবার সরবরাহ করতে বাধা প্রধান করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে এ অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনের নির্বাচনে প্রদানে চাপ প্রয়োগে ব্রিটিশ সরকারের কার্যকর উদ্যেগ গ্রহনের আহবান জানান।
সভায় লর্ড ওয়ালেস বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তিনি এ সর্ম্পকে ওয়াকিবহাল। তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ব্রিটিশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন আয়োজকদেরকে। সভায় লর্ড কোরবান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদেরকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সিটিজেন মুভমেন্টের আহবায়ক এম এ মালেক, সদ্য গুম হওয়া থেকে মুক্ত বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব, মানবাধিকার নেতা ব্যারিষ্টার সৈয়দ জামিল আলী, টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিলের ক্যাবিনেট মেম্বার ওহিদ আহম্মেদ, লিবডেম নেতা মাইকেল এন্ডারসন, জনাতন ফ্রাইয়ার, রাজনিতিবীদ আবদুল হামিদ চৌধূরী, ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান, আবদুল রাজ্জাক, ক্যাটারার এ আর খানসহ বিভিন্ন মানবাধিকার, কমিউনিটি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।