শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাই একদিন বৃটেনের নেতৃত্ব দেবে এমন আশাবাদ ব্যাক্ত করলেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন আমাদের ছেলে মেয়েরা প্রতিবছরই ভাল রেজাল্ট করছে, এটি আমাদের জন্যে গর্বের বিষয়। গতকাল ১মার্চ সেন্ট্রেল লন্ডনের কেমডেন সেন্টারে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত জিসিএসই ও এলেভেল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ গ্রেডপ্রাপ্ত ৮০জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর মাঝে ষ্টুডেন্ট এ্যাচিভমেন্ট এওয়ার্ড ২০১৪ বিতরনী অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার এমন আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএফআইডি মিনিষ্টার রাইট অনারেবল ডেসমন্ড সাইনী এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব মিসেস সেলিনা আফরোজ, লর্ড শায়েখ ভাইস চেয়ার এপিপিজি অন বাংলাদেশ, লেডি শায়েখ এপিপিজি, মিঃ নিক ডে ভাইস এমপি, রাইট অনারবল ফ্রান্ক ডবসন এমপি, মিঃ রবার্ট ইভান্স সাবেক মেম্বার ইউপার্লামেন্ট, মিস লেমবার্ট এমইপি ও জিএল এ মেম্বার মোরাদ কোরেশী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএফআইডি মিনিষ্টার রাইট অনারেবল ডেসমন্ড সাইনী এমপি বলেন শিক্ষা শুধু ক্যারিয়ার গঠনের জন্যই নয় চরিত্র গঠনেও কাজ করে। ধর্ম অবশ্যই জরুবী, কেউ যাতে ধর্মীয় অপব্যাখার কারণে উগ্রবাদের দিকে ধাবিত না হয় সেদিকেও অভিবাবকদের নজর রাখা উচিত।
আজ যে সব সফল ব্রিটিশ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে হাইকমিশন এওয়ার্ড প্রদান করছে তাদের অবশ্যই আদর্শ চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। আমার বিশ্বাস যাদের সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে তাদের নিজেদের ক্যারিয়ার গঠনের পাশাপশি চারিত্রিক গুণাবলীর মাধ্যমে বৃটেনের বহুজাতিক সমাজে প্রমাণ করতে হবে বাঙ্গালীরা ধর্মীয় গোড়ামীতে বিশ্বাস করেনা।
রাইট অনারবল ফ্রান্ক ডবসন এমপি বলেন বৃটেনের বহুজাতিক সমাজে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের সাফল্যে আমরা গর্বিত, ১৯৭১ সালে আমরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থ জানিয়েছিলাম, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা করি। লর্ড শায়েখ বলেন প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে ব্যবসা, শিক্ষা-চাকুরী ও ব্রিটিশ রাজনীতিতে ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা সাফল্যের সাক্ষর রাখছেন। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্টানের শুভ সূচনা করা হয়। দিবা চক্রবর্তির উপস্থাপনায় অনুষ্টনে ত্রিধারা শিল্পি গোষ্ঠীর সদস্যরা মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে নৃত্য পরিবেশ করেন।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন লাবনি বড়–য়া ও অমিত দে। এখানে উল্লেখ্য যে ২০০৬ সাল থেকে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ মিশন ব্রিটিশ বাংলাদেশী মেধাবী শিক্ষাথীদের এওয়ার্ড প্রদান করে আসছে। সহকারী হাইকমিশনার তালহা খন্দকারের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।