আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: তেলের মূল্যপতনে ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার মূল্যস্ফীতি ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। এতে দেশটিতে মূল্যসংকোচনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। খবর এএফপি। কোরিয়ার সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা জানায়, ফেব্রুয়ারিতে দেশটির ভোক্তামূল্য এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ।
জানুয়ারিতে ভোক্তামূল্য বেড়েছিল দশমিক ৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারির ভোক্তামূল্য বৃদ্ধি ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন, সে সময় ভোক্তামূল্য বেড়েছিল দশমিক ৩ শতাংশ। খাদ্য ও জ্বালানি মূল্য বাদে কোর মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম কমতে থাকায় তিন মাস ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার মূল্যস্ফীতি ১ শতাংশের নিচে রয়েছে। গত বছরের জুনের পর থেকে এ পর্যন্ত তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। উল্লেখ্য, এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিটি তার প্রয়োজনীয় জ্বালানি চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি করে থাকে। বার্ষিক ভিত্তিতে পেট্রোকেমিক্যাল-জাতীয় পণ্যের দাম কমেছে ২৪ শতাংশ।
এছাড়া প্রায় তিন বছর ধরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ব্যাংক অব কোরিয়ার নেয়া লক্ষ্যমাত্রার (২ দশমিক ৫ থেকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ) নিচে রয়েছে। মূল্যসংকোচনকে দূরে রাখতে এরই মধ্যে সুদের হার কমিয়ে চার বছরের সর্বনিম্ন ২ শতাংশে ধার্য করা হয়েছে। এর পরও সুদের হার আরো কমানোর চাপে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানুয়ারিতে ব্যাংকটি চলতি বছরের জন্য তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ করেছে, যা আগে ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। পাশাপাশি পূর্বের ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে চলতি বছরের জন্য মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ১ দশমিক ৯ শতাংশে এনেছে ব্যাংক অব কোরিয়া।