নিউজ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই দুর্নীতির মামলায় আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ১১ দিনেও থানায় না পৌছায় বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদেও মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, “কোন আসামির বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে নিয়ম অনুযায়ী দুটি পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট থানায় সেই পরোয়ানা পৌঁছানো হয়।”
প্রথমত, আদালতের প্রসেসারভার (জারিকারক) সেটি সংশ্লিষ্ট থানায় পৌঁছান। অন্যথায় আদালতের ডিসি প্রসিকিউশনের ডেসপাস শাখার মাধ্যমে থানায় পাঠানো হয়।
আদালতের ডেসপাস শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে পরিবর্তন’কে বলেন, “সাধারন মামলা গুলোতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক দিনই পরেই থানাতে তা পৌছে দেওয়া হয়।”
ঢাকা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজুর আলম পরিবর্তন’কে বলেন, “আদালত কতৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর পুলিশ যদি তা তামিল না করেন তবে আদালত চাইলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন পুলিশের নিকট চাইতে পারেন।”
কিন্তু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আট দিনের মাথায় এ মামলায় ধার্য তারিখ থাকলেও বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে জানতে চাননি। এমনকি দুদকের আইনজীবীরাও বিষয়টি আদালতের নজরে আনেননি।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম পরিবর্তন’কে বলেন, “এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমার হাতে আসেনি।”
এ বিষয়ে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের পেশকার আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আনিসুর রহমান পরিবর্তন’কে বলেন, “খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংক্রান্ত আদালতের কোনো আদেশ আমার কাছে আসেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই।”
প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার তিন নম্বও বিশেষ জজ আদালত। এ মামলার পরবর্তী সাক্ষের দিন ৫ এপ্রিল নির্ধারণ করেছেন আদালত।