শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮

কূটনৈতিক উদ্যোগে এক্সিটের পথ বের হতে পারে

কূটনৈতিক উদ্যোগে এক্সিটের পথ বের হতে পারে

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, আন্দোলনের ট্রেনিং বা কৌশল না জানার কারণে বিএনপি বারবার হোঁচট খাচ্ছে। এ কারণে গত দুই মাস টানা আন্দোলন করেও সুফল পায়নি জোটটি। এখন বিএনপিকে এই আন্দোলন থেকে এক্সিটের পথ বের করতে হবে। সম্প্রতি কূটনীতিকরা যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটির মাধ্যমে একটি এক্সিটের পথ বের হতে পারে। এই উদ্যোগে সরকারও শামিল হতে পারে।

কারণ এই উদ্যোগে এমন একটা পথ বের হবে যখন সরকার বলবে, শর্ত সাপেক্ষে ডায়ালগ শুরু হতে পারে। আমরাও কিছু শর্ত মেনে নিলাম। এভাবে দু’টো পক্ষের জন্য একটি এক্সিটের পথ রেব হয়ে আসবে। তবে তা খুব অর্থবহ হবে না।

মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. হারুন-অর-রশীদ এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের স্টাফ রিপোর্টার নুর মোহাম্মদ ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, কর্মসূচির প্রথমদিকে নাশকতা ও পেট্রলবোমার পরিমাণ বা মাত্রা যা ছিল এখন তা নেই। সরকার খুব বেশি বেকাদায় নেই। কেননা বিএনপি গত দুই মাসের আন্দোলন করে তেমন কিছু করতে পারেনি।

বিএনপি’র আন্দোলনে ব্যর্থতার দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা জনগণের মাইন্ড সেটআপ বুঝতে পারে না। পারলে ২০১৪ সালেই ক্ষমতা যাওয়ার সম্ভবনা ছিল। নির্বাচনে গেলে তাদের জয়লাভ করার সুযোগ ছিল। আর না পারলেও নির্বাচন কেন্দ্রীয় জনগণের যে জনসম্পৃক্ততা তৈরি হতো সেখান থেকেই আন্দোলনে নেমে পড়তে পারতো। আসলে বিএনপি’র আন্দোলনের ট্রেনিং বা কৌশল কিছুই জানা নেই। অজানা কোন জায়গা থেকে বার্তা পাঠিয়ে আন্দোলন সফল করা যায় না। পলিটিক্স হলো ভিন্ন জিনিস। বাস্তব-অবাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে কর্মসূচি নির্ধারণ করতে হয়।

তিনি বলেন, বর্তমান সঙ্কট নিরসনের জন্য এই সঙ্কটের গতি-প্রকৃতি চিহ্নিত করা প্রয়োজন। তারপর সমাধানের পথে হাঁটতে হবে। আমি মনে করি, বর্তমান সঙ্কট নিছক একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কারণেই সৃষ্টি হয়নি। বরং এর সঙ্গে আরও কয়েকটি মৌলিক বিষয় যুক্ত। যুদ্ধাপরাধী ও বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মামলা এ দু’টো বিষয় এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত না হলে দেশের রাজনীতি পরিস্থিতি ভিন্নরূপ লাভ করতো। চলমান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অবস্থা কোনভাবে বা সাময়িকভাবে পরিসমাপ্তি হতে পারে।

কিন্তু দ্বন্দ্ব বা বিভক্তি থেকেই যাবে। এই মুহূর্তে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। এখানে একটি ভীতিকর পরিবেশের একটা বিষয় আছে। কারণ সরকার বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে আছে। এজন্য সরকারের একাধিক অপশন নেই। সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হোক এটা গণতন্ত্রের কথা। কিন্তু আমাদের দেশ সেই সাধারণ অবস্থার মধ্যে নেই। ২০০৬ সালে বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে বিএনপি যে ভুল করেছিল সেটার খেসারত এখন বিএনপিকে দিতে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত বিএনপি’র জন্য আত্মঘাতী ছিল। এই ঘটনার পর ওয়ান-ইলেভেন হলো, রাজনৈতিক নেতারা কারাগারে গেল, অভিজ্ঞতা হলো, তখন তারা সিদ্ধান্ত নিলো তাহলে এটা বাদ দাও।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024