শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: এক বিচারককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মালদ্বীপের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভারত গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।
শুক্রবার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাশিদের এই সাজা ঘোষণা করে রাজধানী মালের একটি আদালত। নাশিদ বিরুদ্ধে করা মামলা গত মাসে খারিজ করে দেওয়া হলেও চলতি মাসে ফের তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে তার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করা হয়। ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১২ সালে দেশটির প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছিলেন নাশিদ। সেই আদেশ যথাযথভাবে দেয়া হয়নি বরং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন নাশিদ। তিন বছরের মাথায় বিতর্কিত পরিস্থিতিতে ক্ষমতা ছাড়তে হয় তাকে।
মামলার রায়ে বিচারক আবদুল্লাহ দিদি বলেন, ‘বিচারিক সাক্ষ্যপ্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে, নাশিদ প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছিলেন, এরপর তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে গিরিফুশি দ্বীপে আটকে রেখেছিলেন।’ তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের রায়ে কোনো দ্বিমত ছিল না। আদালত রায়ে তাকে কত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন সে ব্যাপারটিও স্পষ্ট ছিল না। তবে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের কার্যালয় থেকে ১৩ বছরের সাজা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ মামলায় কোনো রাজনৈতিক প্ররোচনা থাকার কথা অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন। ফেব্রুয়ারিতে সন্ত্রাসের অভিযোগে নাশিদকে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করার পর হাজার হাজার মানুষ মালের রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। নাহিদের বিচার ও তার সঙ্গে মালদ্বীপ সরকারের আচরণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মালদ্বীপের বর্তমান অবস্থায় ভারত গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।