শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৪

গ্যালাক্সির মহামিলন

গ্যালাক্সির মহামিলন

/ ১৫৫
প্রকাশ কাল: বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৩

শীর্ষবিন্দু ডেস্ক: উরোপ মহাকাশ সংস্থার হার্শেল মহাশূন্য পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের টেলিস্কোপে এই বিরল ঘটনা ধরা পড়ে। যাতে বলা হয় ১১ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে দু’টি গ্যালাক্সির একীভূত হওয়ার বিরল ঘটনা উদ্ঘাটন করেছে জোতির্বিজ্ঞানিরা।  মার্কিন মহাশূন্য সংস্থা নাসাও একযোগে কাজ করছে ইউরোপীয় এই সংস্থার সঙ্গে এই প্রকল্পে।

মহাবিশ্বে গ্যালাক্সির একীভূত হওয়া সাধারণ ঘটনাই। কিন্তু এই নতুন দুটো গ্যালাক্সির একীভূত হওয়ার ঘটনাকে বিজ্ঞানিরা বিরলই বলছেন। এত বড় ধরনের গ্যলাক্সির এভাবে একীভূত হওয়ার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। আর এতে যে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস ও নক্ষত্রেরও জন্ম হচ্ছে তাও নতুন একটি বিষয়।

গবেষকরা ধারণা করছেন শেষ পর্যন্ত ওই জুটি বিশালাকায় একটা ডিম্বাকার গ্যালাক্সিতে পরিণত হবে। গবেষণালব্ধ এই ফল জোতির্বিদ্যার একটি রহস্য উদঘাটনে সহায়তা করবে। হার্সেল ছাড়াও নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ও স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপসহ ভূমি আর মহাশূন্যের অনেকগুলো টেলিস্কোপের পাওয়া উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বহুদূরের দু’টি গ্যালাক্সি মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে; আর তাতে জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন নক্ষত্র।

এই নতুন উপাত্ত থেকে বিজ্ঞানিরা স্থির হতে পারবেন যে, গ্যালাক্সির মহামিলনেই তৈরী হয়েছে বিশালাকায় ডিম্বাকার নক্ষত্রপুঞ্জ।বিজ্ঞানিদের মতে, এই মহাবিশ্ব বয়স যখন ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন বছর তখন তা পরিপূর্ণ ছিল লালচে ডিম্বাকার আকৃতির গ্যালাক্সিতে। এই গ্যালাক্সিগুলো কি ধীরে ধীরে ছোটো ছোট গ্যালাক্সিগুলোকে টেনে নিয়ে বড় হয়েছে, নাকি অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতিতে দুটি বড় গ্যালক্সি একীভূত হয়ে তৈরি হয়েছে- তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন বিজ্ঞানিরা।

চার বছর ধরে কাজ করা হার্সেল সবচেয়ে বড় তরঙ্গ দৈর্ঘের অবলোহিত রশ্মি নির্ণয় করার মতো করে নকশা করা হয়েছে। এটির খুঁজে পাওয়া উপাত্ত নিয়ে এখনও গবেষণা চালাচ্ছে জোতির্বিজ্ঞানিরা। ন্যাচার সাময়িকীর অনলাইন ইস্যুতে ২২ মে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানি আই ফু ও আসান্থা কুরেই বলেন, নতুন নতুন নক্ষত্র সৃষ্টি করতে করতে একীভূত হওয়া এই গ্যালাক্সিদু’টি পুরোপুরি ধূলা ও গ্যাসের বিশাল মেঘের মধ্যে লুক্কায়িত। হার্সেলের ইনফ্রারেড ডিটেক্টর এর ভেতর দিয়ে গ্যালাক্সিগুলোর একীভূত হওয়ার উপাত্ত তুলে এনেছে।

গবেষণায় বের হলো, ওই গ্যালাক্সি দুটি বছরে ২ হাজার নক্ষত্রের সৃষ্টি করছে, যেখানে আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কি ওয়ে বছরে এক-দুটি নক্ষত্রের জন্ম দিচ্ছে। ওই দুটো গ্যালাক্সিতে নক্ষত্রের সংখ্যা হবে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন। নতুন এই গবেষণায় হার্সেলকে দিয়ে পৃথিবী থেকে ১১ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে এইচএক্সএমএমজিরোওয়ান নামের এই গ্যালাক্সির উপর নজর রাখা হয়। এতে পাওয়া যায় মহাবিশ্বের তিন বিলিয়ন বছর বয়সের উপাত্ত। কাছাকাছি দুটি গ্যালাক্সি দেখে প্রথমে বিজ্ঞানিরা ভেবেছিলেন, তারা বুঝি একটি গ্যালক্সিরই প্রতিবিম্ব দেখছেন। কিন্তু বিশদ গবেষণার পর তারা বুঝতে পারেন, আসলে তারা তাকিয়ে আছেন গ্যালাক্সির মহামিলনের দিকে।

 

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2024