আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে বিমানবালাদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়েছে। হংকংভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইক্যুয়াল অপারচুনিটিজ কমিশনের (ইওসি) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে কতজন বিমানসেবক এ হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তার নির্দিষ্ট চিত্র জানাতে পারেনি সংস্থাটি।
শুক্রবার প্রকাশিত গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি চারজনে একজন বিমানবালা যাত্রী বা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সহকর্মীদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের পেশায় যৌন হয়রানি একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা পরিবর্তনযোগ্য নয়।
৩২৯ জন বিমানবালার মধ্যে ২৭ শতাংশ জানান, গত ১২ মাসে তারা বেশ কয়েকবার যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ২৯ শতাংশ জানিয়েছেন, যৌন হয়রানির তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। বিমানবালা হিসেবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুন্দরী মেয়েদের বাছাই করা হয় বলে এ ঘটনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
ক্যাথি প্যাসিফিক, ড্রাগন এয়ার, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের বিমানবালা ও কেবিন ক্রুদের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। ইওসির মুখপাত্র মারিয়ানা ল মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে জানান, যৌন হয়রানির দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমত, বেশির ভাগ বিমানবালাই হংকংয়ের। আর হংকংয়ের বিমানবালাদের কাছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি তেমন প্রভাব ফেলে না। কারণ তাদের দেশ এ ব্যাপারে বেশ খোলামেলা। আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, যৌন হয়রানি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু এবং এ কারণে বেশির ভাগ বিমানবালাই মুখ খুলতে চান না।
যৌন হয়রানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পিঠ চাপড়ানো, শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করা, চুম্বন ও চিমটি কাটা। আরো আছে অশ্লীল কৌতুক করা, কামুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, অশ্লীল ছবি প্রদর্শন অথবা যৌনকাজের আবেদন।