শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সে বিধ্বস্ত জার্মানির উড়োজাহাজের ১৫০ যাত্রীর কেউই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। জার্মান সরকারের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন এ খবর নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ফ্রান্সের আল্পস পর্বতের দুর্গম এলাকায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। নিহতদের মধ্যে জার্মানির একটি স্কুলের ১৬ ছাত্র রয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই জার্মান বা স্প্যানিশ নাগরিক।
খবরে বলা হয়, জার্মানউইংসের দ্য এয়ারবাস এ-৩২০ মডেলের ফ্লাইট ৪-ইউ ৯৫২৫ উড়োজাহাজটি স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ডুসেলডর্ফ শহরে যাচ্ছিল। ১৪২ যাত্রী ও ৬ জন ক্রু নিয়ে আল্পসের দুই হাজার সাতশ’ মিটার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় এটি বিধ্বস্ত হয়। পরে আরোহীর সংখ্যা আরো দুইজন বেশি বলে জানানো হয়। জার্মানির বিমান সংস্থা লুফথানসার সহযোগী একটি সংস্থা হল জার্মানউইংস।
এর আগে ২০০০ সালের জুলাইয়ে ফ্রান্সের প্যারিসের এয়ার ফ্রান্স কনকর্ড বিধ্বস্ত হয়ে এতে ১১৩ জন নিহত হন। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। তিনি এ ঘটনায় জার্মান চান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলকে সমবেদনা জানান।
ফ্রান্সের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে উড়োজাহাজটি এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। রাডারের আওতার বাইরে চলে যাওয়া যোগাযোগ রক্ষা করা আর সম্ভব হয়নি।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উড়োজাহাজের ব্লাক বক্স খুঁজে পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের কারণে এখনো জানাতে পারেন। এমনকি বিধ্বস্তের আগে উড়োজাহাজটি দুর্যোগ সঙ্কেতও পাঠায়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ তিন বিষয়:
• এ-৩২০ উড্ডয়ানের সময় আবহাওয়া ভালোই ছিল।
• কোনো বিপদ সঙ্কেত দেওয়ার আগেই উড়োজাহাজটি দ্রুত নিচে পড়ে যায়।
• হোয়াইট হাউজ কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আলামত দেখছে না।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সাংবাদিকদের জানান, এ মুহূর্তে আমরা গভীর শোকে আচ্ছন্ন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা জানান। উদ্ধারকারী টিম ঘটনাস্থলে গেলেও বৈরি আবহাওয়ার দরুণ তাদের উদ্ধারকর্ম নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।