শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: একাধিকবার কালক্ষেপণের পর অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হলেন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বেলা তিনটায় তিনি দুদকে হাজির হন। সোয়া ৩টায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উড়োজাহাজ ক্রয়ে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এর আগে তাকে একাধিকবার দুদকে হাজির হতে নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ের আবেদন জানান। বৃহস্পতিবার দুদকে হাজির হলে দুদক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তাকে জেরা করেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক দরের চেয়ে বেশি মূল্যে উড়োজাহাজ ক্রয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ও এমডির দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ২০ বছরের পুরোনো উড়োজাহাজ কিনেছেন আন্তর্জাতিক দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে। উড়োজাহাজ কেনার নামে ওই সময় অনিয়মের মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৪১৫ কোটি টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে।
দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, নিয়ম অনুসারে, খুচরা যন্ত্রাংশ প্রতিযোগিতামূলকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে কেনা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ দরপত্র ছাড়াই শুধু প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের একক সিদ্ধান্তে উড়োজাহাজ কিনেছেন।
সূত্রটি জানায়, বিমান সংস্থাটি ২০ বছরের পুরোনো উড়োজাহাজ আন্তর্জাতিক দরের চেয়ে বেশি দামে কেনার পাশাপাশি একই সময় কেনা একই মডেলের উড়োজাহাজ কিনেছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। যেমন, এমডি-৮৩ মডেলের তিন উড়োজাহাজের মূল্য ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, ৭৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার ও ৮৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৮০ মার্কিন ডলার। অন্য তিনটি মডেলের ক্ষেত্রেও একই রকম করা হয়েছে।