স্বদেশ জুড়ে ডেস্ক: মেঘমালার কারণে গভীর সঞ্চালনশীল কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজারের উপকূলবর্তী প্রায় ৭৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৭৩ মিলিমিটার। সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ দিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজারের উপকূলবর্তী ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে স্থলভাগে কালবৈশাখী ঝড়েরও পূর্বাভাস দিয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ধারা আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানা যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে।
শেষ খবরে জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের ৩০টি, কুতুবদিয়া উপজেলার ৩০টি এবং টেকনাফে ১৫টি গ্রাম বৃষ্টি এবং জোয়োরের পানিতে প্লাবিত রয়েছে। কুতুবদিয়ার উপকুলের পাউবোর সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা এলাকা দিয়ে পূর্ণিমার জোয়ারের লোনা পানি আর টানা দু’দিনের বৃষ্টির পানির ফলে দ্বীপের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাযুবিদ্যুৎ পাইলট প্রকল্প এলাকায় এক কিলোমিটার, ওয়াপদা, আজম কলোনী, মিয়ারঘোনা, মলমচর, পেয়ারাকাটা, ফয়জানিরবাপের পাড়া এলাকায় পাউবো বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় পানি গ্রামাঞ্চলে ঢুকে পড়ে। পেয়ারাকাটা এলাকায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকায় পূর্ণিমার জোয়ারের লোনা পানি এবং প্রবল বৃষ্টির ফলে এ এলাকার সাত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলায় ৫১৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৫ কিলোমিটার সম্পূর্ণ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে এবং প্রায় ২০ কিলোমিটার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে। ফলে এলাকাসমূহ প্লাবিত হচ্ছে। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ বিহীন শাহ পরীরদ্বীপের মানুষ জোয়ার এবং বৃষ্টিতে পানিবন্দি আছে ২ বছর ধরে। সামান্য বৃষ্টিতেও এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ আহমেদ বলেন, বেড়ি বাঁধ সাগরে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে জোয়ারের পানি ও বৃষ্টিতে প্লাবিত হচ্ছে পুরো এলাকা। বেড়িবাঁধ জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার জন্য পাউবো কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। আশা করা যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুব দ্রতই এর সমাধানে পদক্ষেপ নেবেন।
Leave a Reply