বেড়ানো ডেস্ক: বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে তো প্রতিদিনই ঘরে ফেরেন। কতো স্থাপনার কতোই না সিঁড়ি বেয়েছেন। এখানে গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে রোমাঞ্চকর সিঁড়িগুলো দেখে নিন। রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষরা এসব সিঁড়িতে পা ফেলতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন।
১. প্যাসিফিক প্যালিসেডস ক্লিপস : ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণ উপকূলে নজরকাড়া কিছু সিঁড়ি আছে। সৈকতের প্যাসিফিক হাইওয়ে থেকে এদের শুরু। মিশেছে একেবারে সাগরের কাছে।
২. স্পেনের সান জুয়ান ডি গেজতেলুগাৎজি : অদ্ভুত সুন্দর এক দ্বীপ এটি যার নামকরণ হয়েছে ব্যাপ্টিস্ট সেন্ট জনের নামে। এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে একটি উপাসনালয় আছে। কিন্তু মূল ভূখণ্ড থেকে সেখানে পৌঁছতে বহু পথ পাড়ি দিতে হয়। আর পুরোটুকুই পায়ে হাঁটা ব্রিজের ওপর দিয়ে যেতে হবে। বেশ চ্যালেঞ্জিং কাজ। কিন্তু ঘাম ঝরানোর পর বুঝবেন, কি অপেক্ষা করছে আপনার জন্যে।
৩. রোমের স্কালা সাঙ্কটা : খুব বিস্ময়কর কিছু না, কিন্তু অবশ্যই ব্যতিক্রম। রোমের ভ্যাটিকান সিটি এই সিঁড়ি ‘পবিত্র সিঁড়ি’ নামে পরিচিত। বলা হয়, এই সিঁড়িতে খ্রিষ্টের রক্ত লেগে রয়েছে।
৪. কলোরাডোর মানিতো ক্লাইম্ব : পাইকস পিক পাহাড়ের গা বেয়ে পাইপলাইন বসানোর জন্যে রেইলরোড করা হয়েছিল। কলোরাডোর এই পাহাড়ের সেই রেইলরোড আজ সিঁড়িতে রূপান্তরিত হয়েছে। এটি বেয়ে ওঠা অলিম্পিক অ্যাথলেট এবং বহু মানুষের কাছে দারুণ রোমাঞ্চের বিষয়।
৫. চীনের হেভেনস গেট : ৯৯৯টি সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের যে খোলা অংশের দিকে এগিয়ে যাবেন, তাকে স্বর্গের দরজা বলেই মনে হবে। সেই দরজায় দাঁড়ালেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিমূঢ় হয়ে পড়বেন।
৬. ওয়াশিংটনের এক্সোরসিস্ট স্টেয়ার : বিখ্যাত ‘দ্য এক্সোরসিস্ট’ সিনেমায় ফাদার কারাস জর্জটাউনের এই সিঁড়িতেই পতিত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। থার্টি সিক্সথ স্ট্রিটের ৩৬০০ প্রসপেক্ট স্ট্রিট ঠিকানার এই বাড়িতেই ছবিটি চিত্রায়িত হয়।
৭. সুইজারল্যান্ডের ট্রেভারসিনার স্টেগ : সুইস আল্পসের ভায়ামালা ক্যানিয়নের এই সাসপেনসন ব্রিজটি সাহসী মানুষের পথ। ব্রিজটির নাম ‘ভায়া মালা’ রাখা হয়েছে যার অর্থ ‘বিপজ্জনক পথ’।
৮. ইউক্রেনের দ্য পটেমকিন স্টেপস : ইউক্রেনের ওডেসা শহরটি তার পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানায় এই পথের মাধ্যমে। ৪৬৫ ফুট লম্বা এই পথের পুরোটুকু সিঁড়ি। ওপর থেকে নামতে শুরু করলে এর শেষ দেখা যায় না। মূলত পটেমকিন স্টেপস ওডেসার হারবারে পৌঁছানোর সহজ উপায়।